এখনই সম্পূর্ণ লকডাউন নয়। আপাতত কড়া বিধিনিষেধই ভরসা। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে ফের লকডাউনের জল্পনা ওড়াল মহারাষ্ট্র সরকার।আপাতত হোটেল, রেঁস্তোরা ও সিনেমা হলের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তাই নিয়ে আলোচনা করছেন সরকারি আধিকারিকরা। কমানো হতে পারে দোকান পাট খোলা রাখার সময়ও। চলতি সপ্তাহের শেষেই এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত থাকবেন।মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ২৭,৯১৮ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৯ জন। ফলে পরিস্থিতি যে বেশ উদ্বেগের তা বলাই বাহুল্য। বুধবারও সেই ট্রেন্ড অব্যাহত। মৃত্যু হয়েছে২২৭ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯,৫৪৪। কিন্তু এর পরেও লকডাউন হচ্ছে না কেন?মূলত অর্থনৈতিক দিকটি মাথায় রেখেই আপাতত আগের মতো সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে না। নয়া পন্থায় জোর দেওয়া হবে সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধিতে।এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানালেন, 'লকডাউন শব্দটার মানসিক প্রভাব বেশি। অর্থাত্ আমজনতা যাতে আরও সচেতন হন, সেটাই এর উদ্দেশ্য। প্রয়োজনে আন্তঃজেলা বা আন্তঃরাজ্য যাতায়াতও কিছুদিনের বন্ধ করার পক্ষপাতী আমরা।'যদিও পরিস্থিতি যে হারে খারাপ হচ্ছে, তাতে শেষমেশ লকডাউন হতেই পারে। এমনটাই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে। তিনি বলেন, 'আপাতত আরও কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করা হচ্ছে। আমরা কেউই লকডাউন হোক, এমনটা চাই না। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই হারে বাড়লে আর হাসপাতালে বেড থাকবে না। ফলে লকডাউন ছাড়া উপায় থাকবে না। আপাতত যতটা সম্ভব বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।'গত রবিবার মহারাষ্ট্রের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন উদ্ধব। সেখানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের এদিন আরও কড়া নজরদারির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন উদ্ধব।সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষ করোনা সতর্কতায় ঢিলেমি দিলে ফের লকডাউনের মতো কড়া নিষেধাজ্ঞার পথেই হাঁটবে রাজ্য। এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাত ৮টা থেকেই আবারও নাইটকার্ফু মহারাষ্ট্রে। আপাতত প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি হয়েছে নাইট কার্ফু।