ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর সঙ্গেই বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয়স্তরে জোট তৈরির সম্ভাবনাও উসকে উঠেছে এদিন।তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মিটিংকে একেবারে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এদিনের মিটিংয়ে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, আমি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে স্থায়ী ও শক্তিশালী করতে চাই। এটা ছাড়া আমাদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।তবে এদিন দুই মুখ্যমন্ত্রীই তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির সম্ভাবনা সংক্রান্ত প্রশ্নকে এড়িয়ে যান।তবে এদিনের এই মিটিংকে ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এদিন উভয় নেতা অবশ্য ওই প্রসঙ্গকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির জন্য একাধিক নেতা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্যতম। তবে কি এবার সেই তৃতীয় ফ্রন্টের শরিক হিসাবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেতে চাইছেন মমতা?এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কলকাতায় তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। তাঁরা দুজনেই কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমান দূরত্ব রেখে চলার কথা জানিয়েছেন।এদিকে সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতায় কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি দিল্লিতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন বলে খবর।এদিকে এর আগে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী একাধিক মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে ডিনারে আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু সেই ডিনারে সিংহভাগই আসতে চাননি। এবার সেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বাংলার তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসকে জোটের মধ্য়ে না রেখে লড়াই করা কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তার পাশাপাশি এই বিরোধী জোটের নেতা কে হবেন তা নিয়েও ঠান্ডা লড়াই চলছে। সেক্ষেত্রে বিরোধী জোট বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।তবে ওড়িশা সফর নিয়ে মমতা অবশ্য় জানিয়েছেন, এটা বিরোধী ঐক্য বা ওইরকম কিছু নয়। এটা একটা সৌজন্য সাক্ষাৎকার। ওড়িশার একটি কর্মসূচি আর নবীনজী কয়েকজন মন্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। যখনই ওড়িশা আসি তখনই দেখা করি তাঁর সঙ্গে। কুমারস্বামীজীও আগামী শুক্রবার আমার বাড়িতে দেখা করতে আসবেন।