উত্তরপ্রদেশে অপহরণের অভিযোগ উঠল। প্রকাশ্যে দিবালোকে এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সন্তানকে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা। যদিও অপহরণকারীরা কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেই গাড়িতে ধাক্কা মারে। তখন ওই ব্যক্তি এবং তার দুই সন্তান সেখান থেকে কোনওভাবে পালাতে সক্ষম হন। তবে প্রকাশ্য 🔴দিবালোকে এমন অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরে। সিসিটিভি ফুটেছে এই অপহরণের দৃশ্য ধরা পড়েছে। এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে।
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠন ক💝রে পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে বেরোতেই BJP-র প্রধানকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সুভাষ কাশ্যপ। তিনি তার ছেলে ও মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসছিলেন। সেই সময় মাঝরাস্তায় একটি সাদা এসইউভি গাড়িতে করে চারজন আসে এবং সুরাজপুর প্রধান বাজারে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে অপহরণকারীরা নিজেদের গাড়িতে তোলে। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে মারধরও করা হয়। শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা ജতাদের গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেইসময় তাদের গাড়িটি কিছুতে দূরে যাওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা মারে। তখনই ওই গাড়ি থেকে বাবা ও সন্তানরা পালিয়ে যান।
যে সময় অপহℱরণের ঘটনা ঘটেছে সেই সময় বাজার জমজমাট ছিল। সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। তা সত্ত্বেও এ ধরনের অপহরণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। ওই এলাকায় সিসিটিভি রয়েছে। ঘটনার দৃশ্য সিসিটিভি ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনের পরিচয় জানতে পেরেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সুভাষ জানিয়েছেন, অপহরণকꦚারীদের মধ্যে দুজন তাঁর পূর্ব পরিচিত ছিল। তাদের নাম হল রোহিত এবং আকাশ। অভিযোগ দু মাস আগে তাদের সঙ্গে কোনও এক𓆏টি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল সুভাষের। যদিও কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা, তা জানা যায়নি। তবে সুভাষের ভাই দাবি করেছেন, অপকারীদের পরিকল্পনা ছিল সুভাষকে অপহরণ করে খুন করার। সেই কারণে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার অনিল যাদব বলেছেন, সুভাষ কাশ্যপ সুরাজপুর এলাকায় থা൲কেন। তাঁর ছেলেমেয়েরা পাশের কেসিএস ইন্টার কলেজে পড়ে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেছ𒊎ে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অপহরণকারীদের সন্ধান চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে, সুভাষ যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে তাদেরও খোঁজ করা হচ্ছে।