বাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার করার সময় ভুল করে গহনার বাক্স ডাস্টবিনে ফেౠলে দিয়েছিলেন। কিন্তু, গহনার কথা মনে হতেই মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। কারণ ততক্ষণে আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। শুধু তাই নয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রেও পৌঁছে গিয়েছিল সেই গহনা। শেষে পুরসভার তৎপরতায় উদ্ধার হল ওই গহনার বাকღ্স। যার মূল্য হল ১২ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রীবা জেলায়। ওই ব্যক্তির নাম প্রমোদ কুমার।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় সোনা পাচার, ১০ কোটির সোনা-সহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেღস থেকে গ্রেফতার ৪
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে সপরিবারে ভোপাল বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। তাই গহনা চুরি হওয়ার আশঙ্কায় বেড়াতে যাওয়ার আগে তিনি ১২ লাখ টাকার গহনা ভর্তি ওই বাক্স বাড়ির ডাস্টবিনে আবর্জনার সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বেশ কয়েকদিন পর তিনি ভোপাল থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন।বাড়িতে আসার পর তিনি ডাস্টবিনে যে গয়না রেখেছিলেন সে কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। শেষে বাড়ির আবর্জনা ভর্তি পাত্রটি রাস্তায় থাকা ডাস্টবিনে🐓 ফেলে দেন ওই ব্যক্তি।
ওদিকে, পুরসভার কর্মীরা গিয়ে প্রতিদিনকার মতোই সেই ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে চলে যান। তখন আচমকা যেন মাথায় বাজ পড়ে ওই ব্যক্তির। তার মনে পড়ে তিনি গয়না লুকꦿিয়ে ডাস্টবিনে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ওই এলাকায় যে গাড়িটি আবর্জনা সংগ্রহ করেছে তার খোঁজ করা হয় । ততক্ষণে আবর্জনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়ে গিয়েছিল। শেষে গাড়িটি শনাক্ত করা হয়। এরপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে পুরসভার নির্দেশে কর্মীরা বর্জ্য থেকেই গহনা তল্লাশি শুরু করেন।
মুকেশ প্রতাপ সিং নামে এক শ্রমিক জানান, কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রায় ২৪ জন কর্মীর একটি দল আবর্জনার মধ্যে গহনাগুলি খুঁজতে থাকে। শেষে সেগুলি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রমোদ কুমার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কারণ তারা ওই গাড়িটি যেখানে ময়লা ফেলেছিল𝓀 সেই জায়গাটি দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। তা না হলে আবর্জনার পাহাড় থেকে হয়ত গহনা উদ্ধার সম্ভব হতো না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে হারিয়ে যাওয়া গহনা ফিরে পেয়ে খুশি ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার।