সাধারণত একজন ভারতীয় মহিলা প্রতারণা করতে বা প্রতিশোধ নিতে অসত্যি বা ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ জানাবেন না। এমনই পর্যবেক্ষণ করল মণিপুর হাই কোর্ট। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির আগাম জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি চলাকালীন উচ্চ আদালত এই পর্যবেক্ষণ করে। পাশাপাশি অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি এমভি মুরালীধরন পর্যবেক্ষণ করেন, ভারতীয় সমাজে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে যেভাবে কলঙ্কিত করা হয়, তাতে ꦯসাধারণত এই ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগ করা হবে বলে মনে হয় না।
এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে নির্যাতিতা (অভিযোগকারী একজন নার্সিং ছাত্রী) অপহরণ করে এবং তাঁর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অভিযুক্তদের একজন সেই নার্সিং কলেজেরই প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই আবহে উচ্চ আদালতের বিচারপতি বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে যে আবেদনকারী (ধর্ষণে অভিযুক্ত) তাঁর নিজের ছাত্রীর বিরুদ্ধে একটি জঘন্য অপরাধ করেছেন। ▨এই আবহে এটি ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উপর একটি কলঙ্কের দাগ। এই ক্ষেত্রে কোনও ধরনের উদারতা দেখানো যায় না।’
এদিকে ঘটনায় একজন অভিযুক্ত সদ্য মা হওয়া এক মহিলা। তিনি জামিনের আবে🌞দন জানিয়ে দাবি করেন, তাঁর সন্তানতে স্তনের দুধ পান করাতে হয়। তবে সেই মহিলার দামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত বলে, ‘এটা সত্যি যে শিশুদের মায়ের স্তনের দুধ পান করালে ཧতা তাদের শরীরের জন্য ভালো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, সন্তানের জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে আবেদেনকারী নিজের সন্তানের বয়স উল্লেখ করেননি। এই আবহে আদালত কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছে না।’