প্রাক্তন বিহার মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি জানিয়েছেন যে তাঁর হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এনডিএ-তে ফের যোগদান করছে। কয়েক দিন আগেই নীতিশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁর একদা সঙ্গী মাঝি। তখন থেকেই মনে হয়েছিল হয়তো ঘর ওয়াপসি হবে তাঁর। সেটাই হল বাস্তবে। যদিও রাম বিলাস পাসওয়ানের এলজেপি ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে সংযুক্ত জনতা দলের বিরুদ্ধে। নীতিশের দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথাও ভাবছে তারা। এদিন জিতেন মাঝি বলেন যে তিনি কোনও শর্ত ছাড়াই এনডিএ-তে ফিরছেন। তবে ভোটে কত আসনে তারা লড়বেন, সেই নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। দলিত নেতা মাঝির দলের প্রভাব মূলত দলিতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিহারে ১৬ শতাংশ ভোটার দলিত ও ৪০ টি আসন তাদের জন্য সংরক্ষিত। পাটিগণিতের হিসাবে তাই মাঝি আসায় এনডিএ-র সুবিধা হওয়ার কথা। কিন্তু দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে একই ভাবে প্রভাব আছে রামবিলাস পাসওয়ানের এলজেপি-র। রামবিলাস পুত্র চিরাগ বারবার নীতিশ কুমারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন। এলজেপি-র অনুমান যে জিতেন রাম মাঝিকে এনে তাদের ডানা ছাটতে চায় নীতিশ। সেই কারণে জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথাও ভাবছে এলজেপি। অন্য়দিকে পাসওয়ান ও মাঝির মধ্যে সম্পর্ক তেমন ভালো নেই। সব মিলিয়ে বেশ কিছুটা খিচুড়ি পাকিয়ে আছে এনডিএ শরিকদের মধ্যে সম্পর্ক। বিজেপি এর মধ্যে জানিয়েছে যে বিহারে নীতিশ কুমারই এনডিএ-র নেতা ও যেটুুকু সমস্যা আছে, একবার আসন বণ্টন হলেই তা মিটে যাবে। কিন্তু সেই আসন ভাগ বাটোয়ারার সময় যে প্রবল বিতর্ক হবে, সেটা এখন থেকেই অনুমেয়। মাঝি এদিন বলেন যে এটা অনস্বীকার্য যে নীতিশ কুমারের জন্যই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। তারপরে যা অপ্রীতিকর ঘটনা হয়েছিল, সেটা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান বলে জানান এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিন আরজেডিকে তীব্র আক্রমণ করেন মাঝি। ঘুরিয়ে তেজস্বীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা থেকে শুরু করে কীভাবে লালুর দল তাদের যোগ্য সম্মান দেয়নি, সেই কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিহারে ভোট অক্টোবর- নভেম্বর মাসে। তার আগে যে বেশ কিছু পট পরিবরর্তন হবে, সমীকরণ বদলাবে, তা এখন থেকেই বলা যায়। মহাগঠবন্ধন ছেড়ে হ্যাম এনডিএ-তে এলেও শেষ পর্যন্ত শাসক জোট বিহারে অক্ষত থাকে কিনা, সেটা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে প্রবল জল্পনা।