স্বল্পভাষী ছিলেন বলে অনেক সময়ই তাঁকে 'মৌন প্রধানমন্ত্রী' আখ্যা দেওয়া হত। এহেন মনমোহন সিং গতরাতে প্রয়াত হয়েছেন ৯২ বছর বয়সে। সেই মনমোহনই মিডিয়ার ওপর একটা সময় অভিমানী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তাঁরই হাত ধরে ভারতীয় অর্থনীতি উদারীকরণের পথে হেঁটেছিল। তবে রাজনৈতিক ময়দানে মনমোহনের শান্ত স্বভাব নিয়ে অনেক সময়ই 'প্রশ্ন' উঠত। এই আবহে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমি সত্যি বিশ্বাস করি মিডিয়া বা বিরোধীদের থেকে ইতিহাস আমার প্রতি বেশি সদয় হবে।' ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সেই ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। সেই ঘোষণার পরপর তিনি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সময় এই কথা বলেছিলেন মনমোহন। অবশ্য ২০১৪ সালে কংগ্রেস নির্বাচনে হেরেই যায়। (আরও পড়ুন: মনমোহন সিং- রাজনীতির কাছে পরাজিত এক রাজনীতিবিদ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পদক্ষেপ পুলিশের🏅, ধৃত ৪
আরও পড়ুন: 'সারা বিশ্ব𝄹 স্পষ্ট ভাবে শুনুক…', ৯১'র ব💯াজেটে কী বলে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মনমোহন?
উল্লেখ্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের 'ক্ষমতার আসল কেন্দ্রবিন্দু' ছিল অন্যত্র। জীবনে একবার মাত্র লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মনমোহন সিং। তাতে তিনি হেরেছিলেন। তবে সংস্কারক হিসেবে নিজের দর বুঝিয়েছিলেন মনমোহন। তাই নির্বাচনী রাজনীতির অংশ না হয়েও সংসদে তিনি থেকেছেন। এদিকে 'জননেতা' হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে এর জন্যেই হয়ত মনমোহন সিংকেই ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। (আরও পড়ুন: ১৯৯১ সালের জুন, মনমোহন তখন ঘুমাচ্ছেন, সেই একটা ফ🃏োন কল বদলে দেয় ভারতকে...)
আরও পড়ুন: '১৫০ গ্রাম'? বীর্যই তো মেলেনি… ⛎আরজি কর কাণ্ডের নেপথ্যে এক জনই? সামনে নয়া রিপোর্ট
১৯৯১ সালে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্যে সব কিছু 'বাজি রেখেছিলেন' মনমোহন সিং। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক চুক্তির জন্যে তিনি সেই একই কাজ করেছিলেন। কারণ তিনি এটাকে কেবলমাত্র একটা চুক্তি হিসেবে দেখেননি, বরং পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গে ভারতের 'রিসেট বোতাম' হিসেবে দেখেছিলেন। সেই সময় বামেরা তাঁর সরকার থেকে সর্থন প্রত্যাহার করলেও মনমোহন অনড় থেকেছেন নিজের অবস্থানে। বরং তিনি তখন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছিলেন। সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূলের সঙ্গে চ্যানেল খুলেছিলেন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সচিবালয়ের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন করেও বাতিল, তারপর.♛..)
আরও পড়ুন: তিনি আজ নেই, তবে চিরকাল থেকে যাবে তাঁর ছায়া, তিনি - ডঃ 🧸মনমোহন সিং
১৯৯১ সালের পর কংগ্রেসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচনী ফল হয়েছ💯িল ২০০৯ সালে। আর তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মনমোহন। তবে নিজের দ্বিতীয় টার্মে তিনি পদে থাকলেও ক্ষমতা যেন তাঁর হাতে ছিল না। তবে তিনি তাও গদিতে বসেছিলেন। রাজনীতির কচকচানি সহ্য করেও জোট টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে রাজনীতির স্বার্থেই দুর্নীতির অভিযোগ সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর ক্যাবিনেটে পাশ হওয়া অর্ডিনেন্ꦉস ছিঁড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেটাই যেন ছিল তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অন্তের সূচনা।