♉ যে ১৮টি ভারতীয় সংস্থার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে, সেই সংস্থাগুলি কোনও অভ্যন্তরীণ আইন লঙ্ঘন করেনি। শনিবার একথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
💃উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নানা ধরনের বৈদ্যুতিন, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিমান সংক্রান্ত পণ্য সরবরাহ করার জন্য ওই ১৮টি ভারতীয় সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার দাবি, ওই সংস্থাগুলি ভারতের দেশীয় আইন ভঙ্গ করেছে। কিন্তু, নয়াদিল্লি তা মানতে নারাজ।
🦩যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে একথা স্বীকার করা হয়েছে যে এই বিধিনিষেধের ফলে তাদের ব্যবসায়িক পরিচালনা ব্যবস্থা কিছুটা প্রভাবিত হবে।
🌳মার্কিন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা বেআইনি। তাই, এই 'বেআইনি যুদ্ধে' ইন্ধন জোগাতে যে ব্যক্তিরা এবং যে সংস্থাগুলি রাশিয়াকে সাহায্য করছে, তাদের সকলকে চিহ্নিত করে, গত ৩০ অক্টোবর তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।
🐲সব মিলিয়ে এমন প্রায় ৪০০ সংস্থা বা ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে ভারতের ১৮টি সংস্থাও রয়েছে।
𒀰আমেরিকার দাবি, সংশ্লিষ্ট ভারতীয় সংস্থাগুলি মিলিতভাবে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাশিয়ায় কয়েক হাজার শিপমেন্ট পাঠিয়েছে। তারই নিরিখে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
🐼এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, যে সংস্থা এবং আদানপ্রদানগুলিকে (পণ্য রফতানি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটিও ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করেনি।'
🍎তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমরা এই বিষয়ে আমেরিকার কাছে বিশদে জানতে চেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'
ജপ্রসঙ্গত, ভারতের বিভিন্ন সংস্থা যাতে বিদেশের বাজারে তাদের কৌশলগত পণ্য রফতানি ও বিক্রি করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সরকারি এজেন্সিগুলি লাগাতার নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে চলেছে।
🗹সংশ্লিষ্ট ভারতীয় সংস্থাগুলি যাতে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত থাকে এবং বিদেশে কৌশলগত পণ্য সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের যাতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়, সেদিকেও নজর রাখছে এজেন্সিগুলি। সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করা হয়।
🍸জয়সওয়াল আরও জানিয়েছেন, কৌশলগত পণ্য রফতানি ও তার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের কাছে একটি 'শক্তিশালী আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো' রয়েছে।
ဣতাছাড়া, ভারত এই সংক্রান্ত তিনটি রফতানি ব্যবস্থাপনা, যথা - ওয়েসেনার ব্যবস্থাপনা, অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠী এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার অন্যতম প্রধান সদস্য।
🐓এর পাশাপাশি, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম এবং নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত পণ্য রফতানি সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রস্তাবনাও ভারত মেনে চলে।
ꦇওয়েসেনার ব্যবস্থাপনা - এর মাধ্যমে প্রচলিত অস্ত্র এবং দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্য ও প্রযুক্তির স্থানান্তরের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে। যাতে তা সামরিক শক্তিবৃদ্ধির জন্য ব্যবহার না করা হয়।
🎀অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠী - এটি হল একটি সমঝোতা (যা আনুষ্ঠানিক নয়)। যার মাধ্যমে আমদানি ও রফতানিতে যুক্ত বিভিন্ন দেশে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র নির্মাণের ঝুঁকি হ্রাস করা হয়।
🐻ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা - এটি হল একটি রাজনৈতিক বোঝাপড়া (এটিও আনুষ্ঠানিক নয়)। যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও সেই সংক্রান্ত প্রযুক্তির বিস্তারে রাশ টানতে সাহায্য করে।