সোমবার নাগাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে চলল লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরানোর উদ্দেশে ভারত ও চিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত প্রায় ১০.৩০ পর্যন্ত চলে দুই পক্ষের সামরিক আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সমাবেশ হালকা করার বিষয়ে কথা তোলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪ কর্পস-এর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনা সেনাবাহিনীর দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক প্রদেশের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিন লিউ।ঠিক এক সপ্তাহ আগে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পোস্টের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সেনা-সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য শহিদ হন। জখম হন আরও ৭৬ জন। ১০ জন জওয়ানকে তিন দিন আটক রাখার পরে মুক্তি দেয় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। পূর্ব লাদাখে শান্তি ফেরানোর উদ্দেশে এ দিন সকাল ১১.৩০ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন চিনা অংশে অবস্থিত মলডো-তে বৈঠকে বসেন ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনা ফৌজের সামরিক আধিকারিকরা। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে তাঁদের আলোচনা চলে। সেনাসূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে গত সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের পিএলএ বাহিনীর সংঘর্ষের কথা তুলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিং। তবে তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এখন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি সেনা বা কেন্দ্রীয় সরকার। এ ছাড়া, এ দিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সমাবেশ কমানোর নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত একমাসের উপরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্যাংগং সরোবরের তীরে সেনা ছাউনি ফেলার অবিযোগ উঠেছে চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে বেজিংয়ের দাবি, তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে রাস্তা ও নজরদারি শিবির তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। গত সোমবার এই বিতর্কের জেরেই গালওয়ান উপত্যকায় চিন ও ভারতের সেনাবাহিনী মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।