গত ১৪ অগস্ট কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন শহরের রাস্তা রাস্তায় নেমেছিল সাধারণ মানুষের ঢল। কয়েক লাখ মানুষের এই জমায়েতগুলি থেকে উঠেছিল আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবি। এবার সেই দাবি শোনা যাচ্ছে পড়শি বাংলাদেশেও। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশের দুই শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা স্লোগান তোলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ডাকেই প্রথমে ‘মেইফুয়া অক্কল রাইত দহল গরো’ (অর্থ - মেয়েরা রাত দখল করো) কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অবশ্য বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কর্মসূচি পালন করা হয়। (আরও পড়ুন: গভীর রাত পর্য🉐ন্ত ꦇজেরা সন্দীপকে, সকালে ফের CGO-তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ)
আরও পড়ুন: 'সেই🥀 রাতে সেমিনার হলে সন্দ⭕ীপ...', আরজি কর কাণ্ডে সামনে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ
এর আগে আজি কর কাণ্ডে 'রাত দখল' কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশের মতো গণঅভ্যুত্থান করার পরিকল্পনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই আবহে তিনিও গতকাল মিছিলে হেঁটে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান। তবে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই উঠেছে দোষীদের আড়াল করার অভিযোগ। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগে সরব হয়েছেন। (আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে প্রতিবাদের জের? সন্দীপকে 'পুরস্কৃত' করা সরকার ব🍸দলি করল ৪৩ চিকিৎসককে)
আরও পড়ুন: 'জড়িত থাকতে পার♚ে...', মমতার𒆙 ১০ লাখ খারিজের পর CBI-কে কী বললেন নির্যাতিতার বাবা?
আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে ফাꦛঁস হচ্ছে রহস্য, আরজি কর হসপাতালে হামলা চালানো ব্যক্তিদের পরিচয় কী?
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রি♔পোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলাতেও ক্ষত ছিল বলে জানা যায়। রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মেলে ছোপ রক্তের দাগ। এই সবের মাঝে সঞ্জয় রায় বলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনা মূল অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এমনকী 'ভিতরের লোক' জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে।