আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ করার জেরে নাকি ৪৩ জন চিকিৎসককে বদলি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একদিনে এই সব বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইউনাইটেড ডক্টরস ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন এই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিন্দায় সব হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই আরজি করের চিকিৎসকের অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি চিকিৎসকদের আন্দোলনকে 'সমর্থন' করেছিলেন। তবে জনসাধারণের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাবহারেরও আর্জি জানিয়েছিলেন। এমনকী আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের 'পা ধরার' কথাও বলেছিলেন মমতা। আর সেই মমতার সরকার এবার চিকিৎসকদের বদলি করে আন্দোলনকে দুর্বল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠল। (আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে🌞 ফাঁস হচ্ছে রহস্য, আরজি কর হসপাতালে হামল🍎া চালানো ব্যক্তিদের পরিচয় কী?)
আরও পড়ুন: 'জড়িত থাকতে পারে...', মমতার ১০ লাখ খারিজের পর CBI-কে কী বলল♊েন নির্যাতিতার বাবা?
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসকের মৃত্যুর পরে পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। চাপের মুখে হাসপাতালের প্রিন্সিপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এমনকী 'অপমানিত' সন্দীপ বলেছিলেন, ত♔িনি সরকারি চাকরিই ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে 'ভালো ছেলে' আখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, সন্দীপকে অন্যত্র বহাল করা হবে। সেই মতো আরজি করের দায়িত্ব ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বে আনার ঘোষণা করা হয়। রিপোর্টে তো দাবি করা হয়েছিল, সন্দীপকে যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে 'বদলি' করা হবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এই আবহে হাই কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। আদালত প্রশ্ন করে, কেন সন্দীপকে পুরস্কꦜৃত করছে সরকার? সেই সরকারই এবার একদিনের মধ্যে ৪৩ জন চিকিৎসককে বদলি করল।
এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গতকালই রাস্তা থেকে তুলে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সিবিআই। এখনও সেখানেই আছেন সন্দীপ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে দীর্ঘ ১৫-১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। উল্লেখ্য, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার জন্য সন্দীপকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি সন্দীপ। বরং গতকাল স্বাস্থ্যভবনে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মতো ছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর পরই মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিজিও 💎কমপ্লেক্সে চলে গিয়েছিল সিবিআই।
আরজি কর মেড🍬িক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্ಌদীপের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছিল। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় অনেক কিছু জানেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তার জেরে প্রবল চাপ তৈরি হলেও বহাল তবিয়তে ছিলেন সন্দীপ। পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিকেলেই অবশ্য নয়া পদ পেয়ে যান।