বিহারের বিরুদ্ধে ড্র করে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে উঠে গিয়েছে বাংলা। আর সেই ম্যাচকে 'তিলোত্তমার ১১ জন ভাই' বনꦚাম ‘সঞ্জয় রাইয়ের ১১ জন ভাইয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করল বাংলা পক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেছেন, ‘সন্তোষ ট্রফির ম্যাচ আজ। তিলোত্তমার ১১ জন ভাই খেলছে সঞ্জয় রাইয়ের ১১ জন ভাইয়ার বিরুদ্ধে৷ বাংলাকে সমর্থন করতে কল্যাণী স্টেডিয়ামে উপস্থিত (ছিলেন) বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত (ছিলেন) বাংলা পক্ষর প্রচুর সদস্য। জয় বাংলা।’
‘তিলোত্তমা’ বলতে বাংলা পক্ষের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হ༺াসপাতালের তরুণী চিকি🦂ৎসকের কথা বোঝানো হয়েছে। আর ‘সঞ্জয় রাই’ বলতে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্তের কথা বুঝিয়েছেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক। যে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আপাতত শিয়ালদা আদালতে চলছে।
কিন্তু ‘সঞ্জয় রাই’ বলা হল কেন?
বিভিন্ন মহলের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ম🅺ূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পদবি ‘রায়’ বলা হলেও গত সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সঞ্জয়ের আসল পদবি হল ‘রাই’।♍
তিܫনি বলেছিলেন, 'এই তো হাওড়াতেও যে কেসটা হল। দুর্ভাগ্যজনক দুটো কেসেই আমার বিহারের বন্ধুরা জড়িত। যাঁরা বিহারবাসী আছেন, তাঁদের কাছে আমি হাতজোড় করে রিকোয়েস্ট করব, আপনাদের আমরা ঘরের লোক বলেই মনে করি। আপনারাও যখন কাজ করেন, তখন মনে করবেন যে এটাও আপনাদের বাড়ি। সেই বাড়িকে সুরক্ষা দেওয়া আপনাদেরই দায়িত্ব। এই যে ছেলেটাকে পুলিশ প্রথমে অ্যারেস্ট ༒করেছে, সে কিন্তু রায় নয়, রাই।’
সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা
আর সেইসবের মধ্যে কল্যাণীতে বুধবারের ম্যাচ ড্র করে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। তিনটি ম্যাচে সঞ্জয় সেনের ছেলেদের ঝুলিতে ছিল সাত পয়েন্ট। ফলে গ্রুপের শীর্ষে থেকে মূলপর্বের টিকিট পেয়ে গিয়েছে। মূলপর্বে মোট ১২টি দল থাকবে। আগের মরশুমের ফাইনালে খেলার সুবাদে সরাসরি মূলপর্বের টিকিট পেয়েছিল গোয়া এবং স🔴ার্ভিসেস। আর আয়োজক হিসেবে তেলাঙ্গানাও সরাসরি মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে ন'টি দল মূলপর্ꦏবে উঠেছে।
সন্তোষ ট্রফিতে আসল লড়াই শুরু বাংলার
সেই নিয়ম অনুযায়ী, সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে মোট ১২টি দল খেলবে। ১২টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রুপ ছ'টি দল থাকবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে চারটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তারপর ধাপে-ধাপে ফাইনালে ওঠা যাবে। আগামী ২২ ডিসেম্বর সন্তোষ ট্রফির ফাইন🌳াল অনুষ্ঠিত হবে।