ক্রুজ মিসাইল, করভেট, ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন, আর্টিলারি গানের মতো মোট ২০৯টি সামরিক সামগ্রী রয়েছে যেগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা নিষিদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের প্রকল্প বাস্তবায়িত করতেই এই নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা তৈরি করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্র। এবার আরও ১০৮টি পণ্য এই তালিকায় যুক্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে আরও ১০৮টি পণ্যের আমজানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, দেশে এত বড় বস্ত্র শিল্প থাকতেও ভারতীয় সেনা নিজেদের পোশাক আমদানি করে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারের মতো দেশের থেকে। তবে এবার থেকে সেই দেশের সংস্থাকে ভারতেই কারখানা তৈরি করে উত্পাদন করতে বলা হবে বলে খবর। উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা খাতে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন রয়েছে।অবাক করে দেওয়া তথ্য হল, ভারতের কানপুরে যেখানে ইজরায়েলি সেনার বুট তৈরি হয়। তখন ভারত তাদদের জওয়ানদের বুট আমদানে করে ইতালি থেকে। এদিকে সিয়াচেনে মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানদের গ্লাভস আসে মিয়ানমার থেকে। এদিকে সেনার স্লিপিং ব্যাগ আসে শ্রীলঙ্কা থেকে।এই পরিস্থিতিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ভারতীয় সেনাকে অন্তত এই সব পোশাক এবং আনুসাঙ্গিক বিষয়ে আত্মনির্ভর করা বিষয়ে বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক সংস্থার সাথেও নাকি এই বিষয়ে কথা হয় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের। তবে গুণগত মানের দিক থেকে ভারতীয় সংস্থার তরফে এই পণ্য তৈরি করা মুশকিল হতে পারে। তাই প্রতিরক্ষা দফতর প্রাথমিক ভাবে চাইছে, যে সংস্থা থেকে ভারত জিনিস আমদানি করে, সেসব সংস্থাকে ভারতেই কারখানা স্থাপন করতে বলা।