রাজ্য সরকারের আবেদনে সিলমোহর দিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দি🃏য়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, সেই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়মে সংস্কার আনতে হয়েছে।
এই মর্মে সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে নিয়মে বদল আনার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে 🐼উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই সমাজমাধ্যমে লেখালিখিও শুরু হয়েছে।
প্রচলিত নিয়মে ঠিক কী কী বদল আনা হয়েছে?
সংস্কৃতি মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অনুসারে, শুধুমাত্র বাংলা নয়, সেইসঙ্গে - মারাঠী, পালি, প্রাকৃত এবং অসমীয়া ভাষাকেও ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জনౠ্য সংশ্লিষ্ট (পুরোনো) আইনের ৩ নম্বর নিয়মটি অপসারিত করা হয়ওেছে।
ওই নিয়মে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট ভাষায় 'সাহিত্য চর্চার ঐতিহ্য আসল হতে হবে এবং তা অন্য কোনও ভাষায় কথা বলা গোষ♑্ঠীর কাছ থে♑কে সংগ্রহ করা যাবে না'!
অর্থাৎ, সহজ ভাষায় বলতে হলে, সেই ভাষাকেই ধ্রুপদী ভাষার ꦆস্বীকৃতি দেওয়া হবে, যে ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টির জন্য 🧸অন্য কোনও ভাষা থেকে সাহায্য নেওয়া হয়নি। নয়া নিয়মাবলী থেকে পুরোনো এই নিয়মটি বাতিল করা হয়েছে।
এই বিষয়ে শুক্রবার সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আরও জানানো হয়েছে, ভারত সরকারের পূর্ব নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসারে, তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়,𝓰 মালায়ালম এবং ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১২ অক্টোবর এবং ২০০৫ সালের ২৫ নভেম্বর, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রের মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি প্রাথমিকভাবে উক্ত ছ'টি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে, ভারত সরকার পূর্বতন সেই মানদণ্ড সংস্কারের সি𝔍দ্ধান্ত নিয়েছে।
এরপরই সংস্কৃতি মন্ত্রকের বিবৃতিতে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি লাভের জন্য নির্ধারিত ও সংশোধিত নয়া নিয়মগুলির উল্লেখ করা হয়েছে।🐈 সেগুলি হল -
(১) সংশ্লিষ✤্ট ভাষায় প্রাচীনতম লিখিত নথির বয়স কমপক্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ বছরের পুরোনো হতে হবে।
(২) সংশ্লিষ্ট ভাষায় রচিত সুপ্রাচীন সাহিত্য ও লিখিত নথিগুলি দীর্ঘ সময় ধরে, ওই একই ভাষায় কথা🉐 বলা গোষ্ঠীর বহু প্রজন্মের ঐতিহ্য হিসাবে বিবেচিত হতে হবে।
(৩) এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভাষার প্রাচীনত্ব স্বীকার জন্য সুপ্রাচ𝔍ীন শিলালিপি বা অন্য কোনও ধাত♔ব আধারের উপর খোদাই করা তথ্যাবলীও প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হবে।
(৪) সংশ্লিষ্ট ধ্রুপদী ভাষা ও সাহিত্য তার বর্তমান রূপ থ🧔েকে পৃথক হতে পারে বা তার পরবর্তী রূপ কিংবা তার শাখাগুলির থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
উপরোক্ত এই নয়া নিয়মাবলী অনুসারেই বাংলা, মারাঠী, পালি, ♏প্রাকৃত এবং অসমীয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যুগ্ম সচিব অমিতা প্রসাদ সর্বতী এই বিবৃতি প্রকাশ করেন।