সুন্দরী বা মডেল বলে কি আইএএস অফিসার হতে পারবেন না? প্রথমবার UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা দিয়েই আইএসএস অফিসার হওয়ায় লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লার মেয়ে অঞ্জলিকে যে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মীনাক্ষী লেখি। তিনি বলেন, 'সুন্দরীর প্রতিযোগিতা জিতেছেন এবং UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেরকম মহিলা প্রার🍬্থীর সংখ্যা হিসাব করা হোক। বি✨উটি উইথ দ্য ব্রেন বিষয়টা একেবারেই নতুন কোনও ব্যাপার নয়। অতীতেও অনেকে এরকম করেছেন। এরকম কৃতীদের সাফল্য উদযাপন করুন।' যদিও ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অঞ্জলিকে নিয়ে ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?
'মডেলিং করতেন, প্রথমবারেই UPSC পরীক্ষা পাশ করে আইএএস অফিসার হয়েছেন'- কয়েকদিন ধরে লোকসভা স্পিকারের মেয়েকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই ইঙ্গিতবাহী পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। স্পিকারের মেয়ে কীভ🐼াবে প্রথমবারেই UPSC পরীক্ষা পাশ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন কেউ-কেউ।
তাঁরা প্রশ্ন তোলেন যে তাহলে কি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনও ‘স্বচ্ছ’ নয়? সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) এবং UGCඣ-NET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যখন নরেন্দ্র মোদী সরকার এমনিতেই অস্বস্তিতে আছে, তখন অঞ্জলিকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ।
ঘটনার তুমুল নিন্দায় BJP
আর সেই ঘটনার তুমুল নিন্দা করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। তিনি বলেন, ‘স্পিকারের বিরোধিতার জন্য যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মেয়েকে নিশানা করেছেন, তাঁদের সকলের তীব্র নিন্দা করা উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের রুখে দাঁড়ানো উচিত। এটা অস্বাস্থ্যকর, অভদ্রতা ও অনৈতিক। এই পোস্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি সভ্যতার 𓆏চিহ্নকে ধ্বংস করছে।’
‘পরীক্ষা না দিয়েও’ IAS হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অঞ্জলির বিরুদ্ধে
তবে এই প্রথমবার এরকম আক্রমণের মুখে পড়লেন না অঞ্জলি। ২০২১ সালে অভিযোগ উঠেছিল যে পরীক্ষা না দিয়েই তিনি আইএএস অফিসার হয়ে গিয়েছেন। যদি𒊎ও সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে ধরা পড়েছিল। কারণ ২০১৯ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার যে ফলাফলে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে ৬৭ নম্বরে নাম ছিল অঞ্জলির। রোল নম্বর ছিলꦆ ০৮৫১৮৭৬।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'ট্রোলিꦐংয়ের বিরুদ্ধে আইন থাকা উচিত। যাঁর𝄹া ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া উচিত। আজ আমি ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছি। কাল অন্য কেউ ট্রোলিংয়ের শিকার হতে পারেন।'
সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'পড়াশোনা করে আমি যে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমায়🏅 যে সেটার ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে, তাতে আমি হতবাক হয়ে যাচ্ছি। তবে আমার মতে, এই ঘটনায় আমার মনের জোর আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ পরবর্তীতে জীবনেও এরকম ভিত্তিহীন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে আমায়।' সেইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'পুরো সময়টা আমি নিজের প🐓্রতি সৎ ছিলাম। আমার কাছের মানুষরা জানে যে আমি কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম।'