মহাকাশে বিকিরণের কী প্রভাব পড়ে শুক্রাণুতে? সেই উত্তর পেতেই গত ২০১৩ সালে ইঁদুরের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে। সেখানে ৬ বছর রাখার পর তা স্পেস-এক্স-এর যানে পৃথিবীতে ফিরে আসে।গবেষকরা দেখতে চান যে মহাকাশের বিকিরণের কী প্রভাব হতে পারে শুক্রাণুতে। সুস্থ স্ত্রী ইঁদুরের ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে ব্যবহার করা হয় মহাকাশ ফেরত শুক্রাণু। দেখা যায়, ১৬৮টি সম্পূর্ণ সুস্থ ইঁদুর ছানার জন্ম হয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে শুক্রবার এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।এই গবেষণার মুখ্য গবেষক তেরুহইকো ওয়াকাইয়ামা জানান, জাপানের ইয়ামানাশি ইউনিভার্সিটির তরফে তাঁরা মোট ৩ বাক্স ইঁদুরের শুক্রাণু মহাকাশে প্রেরণ করেন। তাতে মোট ৪৮টি অ্যাম্পুল ছিল।কিন্তু এর উদ্দেশ্য কী? গবেষক জানান, ভবিষ্যতে আরও দূরে, বহু সময় ধরে মহাকাশযাত্রা করবে মানুষ। সেই দিক দিয়ে এই গবেষণা তাত্পর্যপূর্ণ। এছাড়াও মহাকাশে শুধু মানুষই নয়, বিভিন্ন পশু-প্রাণীরও জেনেটিক রিসোর্স সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এভাবে প্রায় ২০০ বছর পর্যন্ত ফ্রিজ-ড্রাই করে তা রেখে দেওয়া সম্ভব বলে জানা গিয়েছে গবেষণায়। শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া অপত্যে কোনও সমস্যা না থাকায় ভবিষ্যতের সেই রাস্তাই প্রশস্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে।