এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনুস দাবি করেছিলেন, ভারত ছাড়া বাংলাদেশের চলবে না। স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, 'ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই'। এহেন ইউনুসের সঙ্গে মোদীর বৈঠক চাইছে বাংলাদেশ। এদিকে মোদীর সঙ্গে এর আগে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইউনুস। এরই মাঝে আবার আওয়ামি লিগ নিয়ে সুর নরম ইউনুসের। দলটিকে স্বস্তি দিয়ে ইউনুস জানিয়ে দিলেন, হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই। ২০ মার্চ ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইউনুস জানান, তাঁরা আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করছেন না। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে। (আরও পড়ুন: ISI কর্তাদের পরে বাংলাদেশ যাবেন পাক বিদেশমন্ত্রী, 🙈আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা ༺নিয়ে)
এদিকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ না করলেও সেই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউনুস। এই বিষয়ে তিℱনি বলেছেন, 'আওয়ামি লিগের যে সব নেতাদের বিরুদ্ধে খুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের অভিযোগ রেয়েছে, তাঁদের বিচার হবে বাংলাদেশের আদালতে।' উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরানোর দা🍎বি জানিয়ে দিল্লিকে কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছিল ঢাকা। এদিকে ডেভিলস হান্ট অভিযানের নামে বাংলাদেশের কয়েক হাজার আওয়ামি লিগ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল ইউনুস সরকার। তবে হাসিনা অনুগামীরা বরাবর বলে এসেছেন, আওয়ামি লিগ ফের ফিরবে। এখন ইউনুসের কথায় যেন সেই দাবিই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।
এদিকে এর আগে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্রলিগকে। এরই মাঝে আওয়ামি লিগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। এরই মাঝে শেখ হাসিনা সহ বিগত সরকারের প্রায় সব মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন বহু প🍌্রাক্তন মন্ত্রী। তবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপি, জামাত এবং আন্দোলনক𝐆ারী ছাত্ররা বারবারই হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও জানিয়েছে। তবে এই নিয়ে পদক্ষেপ করেনি ইউনুসের সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে হাসিনার দেশত্যাগের ৬ মা🍌স পূরণের আবহে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চলে। এর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াཧদ বা রেসিডেন্ট পারমিট বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। হাসিনাকে সরকারি ভাবে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনাকে বৈধ ভাবে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। এরই মাঝে নানান মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার। তবে হাসিনার দলকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে নারাজ।