সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করা মুখতার আনসারি। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তাঁর ছোট ছেলে উসমান আনসারি। তাঁর দাবি, মুখতারকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়⛄েছে। এদিকে এই একই সুর শোনা গিয়েছে গাজিয়াবাদের সাংসদ তথা মুখতার আনসারির ছোট ভাই আফজাল আনসারির গলায়। এর আগে গত সপ্তাহেই মুখতার আনসারির আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর মক্কেলকে 'স্লো পয়জন' দেﷺওয়া হচ্ছে জেলে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, দু'দিন আগেই মঙ্গলবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন মুখতার আনসারি। সেই সময় আফজাল আনসারি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দাদাকে বিষ দেওয়া হয়েছে জেলে। যদিও পরে সাময়িক সুস্থ হলে মুখতারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলে ফেরেন প্রাক্তন এই বিধায়ক। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের তার শা♑রীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। এরপরই উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গ্যাংস্টারকে। পরে সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় মুখতার আনসারির। এদিকে মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, আনসারিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ বান্দার হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বারবার বমি করছিলেন। পরে ৯ সদস্যের চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর চিকিৎসা শুরু করে। তবে হৃদরোগে মৃত্যু হয় মুখতার আনসারির।
এই আবহে বন্দি অবস্থায় মুখতারের মৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত🐽্রী যোগী আদিত্যনাথ রাতেই জরুরি বৈঠক ডাকেন। এদিকে গাজিয়াবাদ এবং বান্দায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত থেকেই এলাকায় এলাকায় রুট মার্চ শুরু করে পুলিশ। এরই মাঝে গাজিপুরে মুখতার আনসারির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর বাড়ির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। এদিকে মুখতার আনসারি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মউ, গাজিপুর এবং বারাণসী জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির এক বিতর্কিত চরিত্র ছিলেন গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি। ২০০৬ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মুখতারের প্রভাবের জেরে আজও সাংসদ-বিধায়ক পদে বহাল আছেন। আর মুখতার নিজে উত্তরপ্রদেশের মৌ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে গাজিপুরের তৎকালীন বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই সহ ৭ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুখত🌄ারের বিরুদ্ধে। এদিকে অপর এক ঘটনায় অবদেশ রাইকে খুনের অভিযোগও ছিল মুখতারের বিরুদ্ধে। এই অবদেশ রাই হলেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইয়ের দাদা। অজয় রাই এবার বারাণসী কে✃ন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে মোদীর বিরুদ্ধে লড়বেন লোকসভা ভোটে। সেই অজয়ের দাদাকে খুনের মামলায় গত বছর ১০ বছরের কারাবাস হয় তাঁর। এরপর সম্প্রতি অস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স রাখার মামলায় আনসারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত।