সোমবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হয়েছে সিএএ। তার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে সংখ্যালঘুরা। সেই আবহে সিএএ-কে স্বাগত জানালেন এক সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতা। সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি সিএএ-কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আ🦂ইনের ফলে মুসলিমদের নাগরিকত্ব কোনওভাবে প্রভাবিত হবে না।
আরও পড়ুনঃ CAA মানꦬব না, বিক্ষোভ জামি🐻য়া-তে, অশান্তি এড়াতে আগাম নির্দেশিকা জেএনইউতে
জামাতের সভাপতি বলেন,�🎐� ’আমি এই আইনটিকে স্বাগত জানাই। অনেক আগে এই আইন প্রয়োগ করা উচিত ছিল। এই আইন নিয়ে মুসলমানদের অনেক ভুল বোঝানো হয়েছে । এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কোনও আইন ছিল না।’
সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘কোটি কোটি ভারতীয় মুসলমান এই আইনের ফলে মোটেও প্রভাবিত হবে না। এই আইন কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। এর আগে এই আইন নিয়ে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। তবে সেটা ভুল বোঝাবুঝির ফলে। কিছু রাজনৈতিক দল মুসলমানদের মধ্যে এই আইন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। ভারতের প্রতিটি মুসল🎃মানের সিএএ-কে স্বাগত জানানো উচিত।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে সিএএ পাশ হওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরে দেশের বিভিন্ন ♔অংশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এরজেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট করেছিলেন, যে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ আনা হয়েছিল, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের, এবং বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। কারণ আইনে কোনও বিধান নেই। সিএএ হল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।’
তবে এই আইন কার্য🌌কর হওয়ার পরেই যেমন অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন তেমনি অনেকে এটিকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ’অবৈধ’ বলে বিরোধিতা করেছেন। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের (এআইএমআইএম) মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্র সরকার ভোট পাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ করেছে।