নাদীম কাদির
আমার পিতা কর্নেল আব্দুল কাদির মুক্তিযুদ্ধের শহিদ। আমি শহিদ-সন্তান হিসেবে সব সময় গর্ব অনুভব করি। কিন্তু আমার মনে হয় বাংলাদেশের এখনকার তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের মর্ম বোঝে না। শহিদের প্রতিও তারা অনেক সময় শ্রদ্ধাশীল নয়। তাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের পাঠ দিতে আমি একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। যার নাম ‘মুক্তধারা '৭১'। রংপুর জেলার মুস্তাফাপুর গ্রামে একটি কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার জন্য ডেট দিয়েছিলেন মার্চ মাসে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়ে যাবে। তাই মুক্তিযুꩲদ্ধের মাসেই তা উদ্বোধন করবেন আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী।
স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পর শেখ হাসিনা আপার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ভারত আমাদের সহযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে আজও পাকিস্তানী চক্র সক্রিয়। তারা দেশনেত্রীকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। এই🌌 পাকিস্তানী চক্রের অবসান হওয়া দরকার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে যদি আজও পাকিস্তানপন্থীরা থেকে থাকেন দেশের ভেতরಞে, তাহলে কেন সেদিন প্রাণ দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা?
যারা মুক্তিযুদ্ধের শহিদ তাদের পরিবার প্রতি মুহূর্তে যন্ত্রণা সহ্য করে। আমি এসব কথা বলতে গেলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। আমার তখন ১০ বছর বয়স। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাবা যুদ্ধ করতে গিয়েছিল। আমার ছꦬোটভাই মায়ের পেটে। ১৭ এপ্রিল মাকে দেখতে এসেছিল বাবা। কিন্তু ধরা পড়ে যায়। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়। আমার ছোটভাই অরুণের জন্ম ২৮ এপ্রিল। বাবার মৃত্যুর পর অনেক যন্ত্রণা সইতে হয়েছে আমাদের। ২০০৭ সালে আমার বাবার কবর খুঁজে পাই। কিন্তু আমার মা হাসনা হেনা কাদির ১৯৯৯ সালে প্রয়াত হন।
শেষে আবারও বলব, যুদ্ধ আজও শেষ হয়নি। এখনও পাকিস্তানপন্থীরা গোপনে বাংলাদ༒েশকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারাই আবার পুরস্কার পাচ্ছে। যেন আমাদের কাজের কোনও স্বীকৃতি নিই। আমি নিজেই তাদের চক্রান্তের স্বীকার হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত🅺্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।