শিশির গুপ্ত
তাইওয়ানকে রক্ষা করার বার্তা আমারেকি আগেই দিয়েছিল। এই আবহে ২৫ বছর পর উচ্চ পদস্ত মার্কিন꧒ নির্বাচিত প্রতিনিধি পা রাখেন তাইওয়ানের মাটিতে। আর সঙ্গে মার্কিন রণতরী, যুদ্ধবিমানও এসেও পৌঁছায় চিনের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। চিনের তরফে শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে মার্কিন শক্তির সামনে চিনের দম্ভ চূর্ণ হয়েছে। এদিকে তাইপেইতে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সফরে যাওয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরের এই অঞ্চলে। আর যদি এখানে যুদ্ধ হয়, তাহলে কোয়াডভুক্ত দেশগুলিও তাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
এই সফরের দুই মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জ𒐪ো বাইডেন বলেছিলেন যে সামরিক ভাবে হলেও তাইওয়ানকে রক্ষা করবে আমেরিকা। এরপর থেকে চিনের তরফে ভুয়ো তথ্যের ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল। এরপর পেলোসির সফরের ঘোষণা হতেই চিনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু হয়। পেলোসি তাইওয়ানে আসার আগের দিনও চিনের তরফে ‘সামরিক পদক্ষেপের’ হুঙ্কার দেওয়া হয়েছিল। চিনের ‘ব্লাফ’ ধরে ফেলেছে আমেরিকা। তবে আমেরিকর সেই শক্তি ছিল বলে চিনের সামনে তারা দাঁড়িয়েছে। তবে ইউরোপের দেশগুলি এই কাজ করত না। কারণ বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য তাদের অগ্রাধিকার।
তবে তাইওয়ান নিয়ে চিনের এই নীতির জেরে এবার মার্কিন এবং ইউরোপীয় বহুজাতিক সংস্থা এবার চিনে বিনিয়োগ করার আগে বহুবার ভাববে। এদিকে চিন ইস্যুতে আমেরিকায় ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা একই সুরে কথা বলছেন। এদিকে এরই মাঝ⭕ে তাইওয়ানে পেলোসির সফরের বিষয়টি মিডিয়াতে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয় চিনে। তবে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেই জিনপিং কতকটা চাপের মুখে পড়তে পারেন পেলোসির সফরের🐠 কারণে। কারণ ‘সামরিক পদক্ষেপের’ কথা বলেও শেষ পর্যন্ত পেলোসিকে ঠেকাতে পারেনি চিন।