বাংলাদেশে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও অর্ধশতাধিক প্রাণহানির ঘটনায় হত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ এরইমধ্যে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম-সহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা৷ তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷এর আগে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেম-সহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে আবুল হাসেম ছাড়া তার চার ছেলেও রয়েছেন৷ তাঁরা হলেন - হাসিব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহিম (৩৫), তাওসিব ইব্রাহিম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহিম (২১)৷ তারা সবাই কোম্পানিটির পরিচালক৷ এছাড়াও হাসেম ফুডসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মামনুর রশিদ, প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্র-কৌশলি মো. সালাউদ্দিনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২ ধারা-সহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁ কামাল শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে আটজনকে আটকের কথা বলেছেন৷ সেই সময় তিনি তাঁদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি৷ মামলার আগে সকালেই পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, কারখানার সংশ্লিষ্টরা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন৷এদিকে সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসেম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর দায় তার নয় বলে দাবি করেন৷ অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘এই কারখানা কম্পাউন্ডে আমরা ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি৷ দুই হাজারের বেশি শ্রমিকের সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে৷ নিয়মকানুন মেনেই আমরা ব্যবসা করছি৷ কিন্তু শেষ জীবনে এসে বড় পরীক্ষার মুখে ফেলে দিল এই অগ্নিকাণ্ড৷'নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস কারখানায় সিজান জুস, নসিলা, ট্যাং, কুলসন ম্যাকারনি, বোর্নভিটার মতো জনপ্রিয় সব খাদ্যপণ্য তৈরি হত৷ সিজান, সজীব, কুলসন, নসিলা-সহ ১১টি ব্র্যান্ড নামে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রয়েছে এই শিল্প গ্রুপটির৷