নেপালে একটি চমকপ্রদ রাজনৈতিক পরিবর্তন হতে চলেছে। নেপালি কংগ্রেস এবং কমিউনꦕিস্ট পার্টি অফ নেপাল (একীভূত মার্কসবাদী-লেনিনবা⭕দী) (সিপিএন-ইউএমএল) একটি নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য চুক্তি করেছে। এই চুক্তি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা এবং ইউএমএল চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলির মধ্যে হয়েছে। চুক্তির ভিত্তিতে, পরবর্তী দেড় বছর ওলি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং বাকি সময় দেউবা প্রধানমন্ত্রী হবেন। নেপালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই নতুন পরিবর্তন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, ওরফে প্রচণ্ড, এর নেতৃত্বে ৪ মার্চ গঠিত সরকারকে ফেলে দেবে। এ নিয়ে শীঘ্রই একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে চলেছে।
রাতারাতি এই চুক্তি সই হয়েছে। যে চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ওলি সরকার পরিচালনা করবেন এবং🍸 দেড় বছর পর দেউবা দায়িত্ব নেবেন।
এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন,“নেপালি কংগ্রেস ন😼েতা শের বাহাদুর দেউবা এবং ইউএমএল চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলির মধ্যে নতুন সরকার গঠনের জন্য রাতারাতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে তিন বছর সময় বাকি আছে। এই চুক্তির ভিত্তিতে পরবর্তী দেড় বছর ওলি সরকার পরিচালনা করবেন এবং বাকি সময় দেউবা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।"
দুই দলে, কে কোন মন্ত্রীত্ব নেবে, তা নিয়ে মতৈক্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একজন ইউএমএল নেতার মতে, যে দল সরকার পরিচালনা করবে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাবে না। কেন্দ্রে সরকার গঠন ছাড়াও, দুই দল বিভিন্ন প্রদেশের নেতৃত্ব বণ্টনের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। ইউএমএল কোশী, লুম্বিনী এবং কর্ণালী প্রদেশে সরকার পরিচালনা করবে, কংগ্রেস বাগমতি, গণ্ডকী এবং সুদূর পশ্চিম প্রদেশের নেতৃত্ব দেবে। মধেশ প্রদেশে মধেশ ভিত্তিক দলগুলো সরকার পরিচালনা করবে। ইউএমএল নেতা বলেন, “যে দল সরকার পরিচালনা করবে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাবে না। এ নিয়ে দুই নেতার সহমতও হয়েছে♈।"
নতুন জোট নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবনা দিতে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নেতৃত্বে রয়েছে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কল্যাণ শ্রেষ্ঠ। সংসদের বৃহত্তমꦆ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম দলগুলি একটি সাংবিধানিক সংশোধনী চুক্তি তৈরি করেছে, যে চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিযুক্ত করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে, কংগ্রেস এবং ইউএমএল নেতারা রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পোডেলকে জোট পরিবর্তন সম্পর♊্কে বিস্তারিত জানান। তাদের বৈঠকের সময়, নেতারা রাষ্ট্রপতিকে ইউএমএল সমর্থন প্রত্যাহারের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড একটি আস্থা ভোট জিততে ব্যর্থ হলে নতুন সরকার গঠনের জন্য ৭৬(২) ধারা প্রয়োগর করার বিষয়ে অবহিত করেন।