দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে তিনি মহামানবরূপে এক প্রকাণ্ড ছায়া রেখেছেন। এই দেশনায়ককে আজ গোটা দেশ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জানাচ্ছে কুর্নিশ, শ্রদ্ধা, সম্মান। দিকে দিকে স্মরণ করা হচ্ছে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নানান অধ্যায়। ইতিহাসের পাতায় থাকা নানন পর্ব সুভাষ চন্দ্রকে ঘিরে যা গড়ে উঠেছে, তা আজ সর্বত্র আলোচিত। আজ ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকীতে নেটপাড়ায় বিভিন্ন পোস্টের মাঝে ভাইরাল হয়েছে নেতাজির সিভিল সার্ভিসেসে দেওয়া ইস্তফাপত্রটিও।নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মানেই তো দুঃসাহসিক কিছু ঘটনা। যে ঘটনা সে সময়কালে কেউ ভাবতেও ভয় পেতেন, তা বাস্তবের মাটিতে ততক্ষণে করে ফেলেছেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তেমনই এক অধ্যায়, ব্রিটিশ আমলে তাঁর সিভিল সার্ভিসেস-এ সুযোগ পাওয়া, নিয়োগের সাক্ষাৎকারে নির্মম ব্রিটিশ সাহেবদের তুলোধনা করা এবং তারপর সেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া। ১৯২১ সালে সিভিল সার্ভিসেস থেকে ইস্তফা দেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। সেই বছরের ২২ এপ্রিল তিনি পদত্যাগ করেন। জৈনক নেটিজেন তথা আিএফএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান এক টুইটে লেখেন, ‘১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল নেতাজি সিভিল সার্ভিসেস থেকে ইস্তফা দেন। যাতে তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিতে পারেন। একটা মহৎ কাজের জন্য..তাঁর বয়স তখন ২৪ বছর।’ প্রবীণ তাঁর টুইটে পোস্ট করেন নেতাজির আসল ইস্তফা পত্রটি যা নেতাজি পেশ করেছিলেন সিভিল সার্ভিসেস থেকে বেরিয়ে আসার সময়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্য়ে সেই টুইট ফের ভাইরাল হয়েছে। এই চিঠিতে নেতাজি উদ্দেশ্য করেছেন এডউইমন্ট্যাগকে। তৎকালে ব্রিটিশ আমলে এডউইন ছিলেন সেক্রেটারি অব স্টেট। যে চিঠিতে দেখা যাচ্ছে নেতাজি লিখছেন, ‘আমার ইচ্ছা আমার নাম ভারতীয় সিভিল সার্ভিসেসের প্রবেশনারদের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হোক।’ আজ দেশব্যাপী এই বীরের বীরগাথাকে বিভিন্নভাবে স্মরণ করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের দৃপ্ত রূপের পথপ্রদর্শক নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup