নেদারল্যান্ড ঔপনিবেশিক সময়কালের ছয়টি মূল্যবান ধন-সম্পদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দিল শ্রীলঙ্কার কাছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ২৭৫ বছরের বেশি পুরন𒁃ো একটি কামান, যা সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ, রুবি ইত্যাদি মণি-মানিক্য সজ্জিত। এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কলম্বোতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসের সংস্কৃতি শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয়ক উপমন্ত্রী গুনে উসলু দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছে ঐতিহাসিক বস্তুগুলির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন। শ্রীলঙ্কার জাতীয় যাদুঘর কলম্বোতে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি রাখার জন্য আমস্টারডামের রিজকস মিউজিয়ামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। পূর্বেকার উপনিবেশ থেকে চুরি হওয়া সাংস্কৃতিক দ্রব্যসমূহ পুনরুদ্ধার করতে ২০২১ সালের ডাচ নীতির অধিনে এই কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসবে দ্রব্যগুলি। এরমধ্যেই র൲য়েছেন সেই ঐতিহাসিক কামানটি।
মনে করা হয় ১৭৪৫-৪৬ সালে শ্রীলঙ্কার অভিজাত লিওকে ডিসাভা ক্যান্ডির রাজাকে এই কামানটি উপহার স্বরূপ দেন। ১৯৬৫ সাল নাগাদ উপনিবেশিক ডাচ বাহিনী চুরি🌼 করে নিয়ে যায় এবং এরপর থেকে 🐭একটি নেদারল্যান্ডে অবস্থান করছিল। এই কামানটি ছাড়াও অন্যান্য ঐতিহাসিক বস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে দুটি সোনা এবং রুপার তলোয়ার, দুটি বন্দুক এবং একটি ছুরি, যা ১৬৫৮ থেকে ১৭৯৬ সালের মধ্যে ডাচরা তাদের শাসনকালে শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে গিয়েছিল।
ডাচ সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কমিশন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঔপনিবেশিক সময়কালে উপনিবেশ থেকে লুট হওয়া ঐতিহাসিক সম্পদগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে। ইন্দোনেশিয়াও জানিয়েছে তাদের বিভিন্ন শিল্পকর্ম এবং ঐতিহাসিক পুঁথিসমূহ যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কাও তাদের চুরি যাওয়া ধনসম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছিল ডাচদের। প্রসঙ্গত পর্তুগাল শ্রীলঙ্কা শাসন করে ১৫০৫ থেকে ১৬৫৮ সাল পর্যন্ত, এরপর ১৬৫৮ থেকে ১৭৯৬ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডের বাসিন্দারা শাসন করে ছোট্ট দ্বীপটি। এরপর দীর্ঘদিন ভারতে𒁏র মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই ব্রিটিশদের অধীনে ছিল শ্রীলঙ্কা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে তারা। এখন দেখার কত দ্রুত ডাচরা ফিরিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার লুট হওয়া ঐতিহাসিক ধন সম্পদ।