ইপিএফ-এর সুদের হার কমেছে। ৮.৫ শতাংশ থেকে চলতি অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার হয়েছে ৮.১ শতাংশ। চাকরিজীবীদের এর জেরে মাথায় হাত। তবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব দাবি করলেন এই সুদের হার ঘোষণা করতে তাঁর ‘ভাল লাগছে।’ এর পিছনে তিনি নিজের যুক্তিও খাড♛়া করেছেন।
এদিন এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য ইপিএ🧜ফ সঞ্চয়ের উপর ৮.১ শতাংশ সুদের হার ঘোষণা করতে ভালো লাগছে। যখন এসবিআই-এর ১০ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট প্রায় ৫.৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে, যখন পিপিএফ-এর মতো সঞ্চয় স্কিমগুলিতে রিটার্ন ৬.৮ শতাংশ থেকে ৭.১ শতাংশ। সেখানে ইফিএফ-এর সুদের হার এদের থেকে বেশি।’
উল্লেখ্য, ১১-১২ মার্চ গুয়াহাটিতে ইপিএফও বোর্ডের একটি বৈঠক হয়। সেখানে পিএফ-এর সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘোষণা করা হয় যে চলতি আর্থিক বছরের (২০২১-২২) এর জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড ডিপোজিটের উপর ৮.১ শতাংশ হা𝓡রে সুদ দেওয়া হবে। এর আগে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হত প্রভিডেন্ট ফান্ডে। এর জেরে প্রভাব পড়বে দেশে🌳র ৬ কোটি বেতনভোগী কর্মচারীর উপর।
১৯৭৭-৭৮ সালের পর এটা ইপিএফও-র সর্বনিম্ন সুদের হার। সেবারে ইপিএফও-র সুদের হার ৮ শতাংশে এসে ঠেকেছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র সুদের হার ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের পর থেকে সর্বনিম্ন ছিল। তখন পিএফ-এ সুদের হার ৮.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এর আগে꧟ ইপিএফও তার গ্রাহকদের ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৮.৬৫ শতাংশ হারে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করেছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ইপিএফও তার গ্রাহকদের ৮.৮ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করেছিল।