ভারতের প্রর্ত্যপণের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তাতে সায় দিয়েছিলেন ব্রিটেনের স্বꦚরাষ্ট্রসচিবꦯ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জের অনুমতি চেয়ে ব্রিটেনের হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করলেন আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিম্ন আদালতের রায়ের পর ১৫ এপ্রিল নীরবকে ভারতে প্রর্ত্যপণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব। সেদিন ব্রিটে꧒নের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নীরব মোদীর প্রর্ত্যপণ মামলার রায় দিয়েছিলেন ডিস্ট্রিক্ট জাজ। ১৫ এপ্রিল প্রর্ত্🐽যপণের নির্দেশে স্বাক্ষর করা হয়েছে।’
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনে প্রত্যর্পণ মামলায় হেরে যান নীরব মোদী।তার ফলে ১৪,০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হি🥃রে ব্যবসায়ীকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় ব্রিটেনের আদালত। দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনে ওয়ান্ডওয়ার্থ জেল থেকে ভিডিয়োর মাধ্যমে সেই শুনানিতে হাজির ছিলেন ৪৯ বছরের নীরব। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের বিচারক স্যামুয়েলস জোনস রায় দিয়েছিলেন, ভারতীয় আদালতের সামনে তাঁকে হাজির হতে হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রতারণা এবং আর্থিক তছরুপের মামলার প্রতিষ্ঠার জন্য যে প্রমাণ আছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।’ রায়ের অংশ আদালতে পড়ে শোনানোর সময় বিচারক জানিয়েছিলেন, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেলের কাছে রায়ের কপি পাঠিয়ে দেবেন।
ভারত-ব্রিটেনের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে কাউকে প্রত্যর্পণের জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেই♚ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁর হাতে দু'মাস সময় আছে। তবে সাধারণ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রসচিবের মত যায় না। এবারও যায়নি। সেইমতো ভারতের নীরবের প্রর্ত্যপণের রাস্তা আরও কণ্টকমুক্ত হয়। এবার যদি নীরবের আর্জি গৃহীত হয়, তাহলে লন্ডনের হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগে মামলার শুনানি▨ হবে।