বিহার বিধানসভায় সম্প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন নীতীশ কুমার। বিরোধী দলের সদস্যদের হৈ-হট্টগোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বুধবারে জানিয়েছেন যে, সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সকাল ১০টার আগেই ঢুকতে হবে বিদ্যালয়ে। সারাদিনে আটটি ক্লাসের মধ্যে প্রথম ক্লাস শুরু হয় সকাল ১০টায়। প্রথম ক্লাসের ১৫ মিনিট আগেই বিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হতে হবে শিক্ষকদের। সঠিক ভাবে শিক্ষাদানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্রিয় হতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, এমনই জানিয়েছেন নীতীশ কুমার।অন্যদিকে গত মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্যেও সরকারি স্কুলের সারাদিনের সময়সূচী জানানো হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাসের সময়সূচী জানানো হয় বিহার সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, বিরোধী দলের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার অতিরিক্ত প্রধান সচিব কেকে পাঠককে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতেও সোচ্চার হয় বিরোধীরা। এই সময়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ভাষণের দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মুখ্য মন্ত্রীর ঘোষণার পরেই রাজ্য শিক্ষা দফতর প্রথম থেকে অষ্টম ক্লাস পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টার সময়সূচী বানিয়ে বিদ্যালয়গুলিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।প্রসঙ্গত এই দিনের বক্তব্যে নীতীশ কুমার বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিদিন প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ আগে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হবেন, এবং বিকেল ৪টের সময়ে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরে ১৫ মিনিট পর্যন্ত তারা বিদ্যালয়ে থাকবেন।’ এই নির্দেশ সঠিক ভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা উভয়কেই বিদ্যালয়ে থাকতে হত বিহার শিক্ষা দফতরের আগের নিয়ম অনুসারে। সেই পুরোনো বিধিই চালু করার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন বিরোধীরা প্রত্যুত্তরেই নতুন সিদ্ধান্ত জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে এক বড় বদল প্রত্যক্ষ করেছে দেশ। নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে গেলেও এখন তিনি আর INDIA জোটের অংশ নন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA এর হয়েই আরেকবার যাত্রা শুরু করেছেন নীতীশ।