বিহারে বিষমদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯। গতকাল পর্যন্ত সংখ্যাটা অসমর্থিত সূত্রে ছিল ২৫ জন। উল্লেখ্য, বিহারের সারানে বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু নিয়ে বিহারের রাজনীতি তোলপাড়। সেখানে ক♓্রমাগত বিরোধীদের হুঙ্কারের মুখে পড়ছে নীতীশ কুমার সরকার। উল্লেখ্য, বিহারে মদ্যপানে লাগু রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নীতীশ কুমার সরকার ২০১৬ সালে বিহারে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও তারপর বহু সময়ে মদ্যপান বিরোধী অভিযানে অংশ নেয় নীতীশ প্রশাসন, তবে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনাও চলতে থাকে বিহারে। সদ্য সেখানের সারানে বিষমদ কাণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ আটꦿকে রাখতে পারেননি নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মদ্যপান করেন, তাহলে কী হতে পারে, তার উদাহরণ আমাদের সামনে আছে।’ তিনি এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মদ্যপান উচিত নয়।’ উল্লেখ্য, বিহারের সারানের এই বিষমদকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর নীতীশ কুমার ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন তাঁর সরকারের তরফে আনা বিহারে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপ। এই নিষেধাজ্ঞা কতটা জরুরি তা নিয়েও বক্তব্য রাখেন নীতীশ কুমার। নীতীশ কুমার জানান যে তাঁর প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কোনও দরিদ্রকে এই বিষমদ কাণ্ডে ধরপাকড় না করা হয়। বরং তার জায়গায় যারা বিষমদ তৈরি করছে তাদের যেন ধরা হয়।
নীতীশ কুমার বলেন, ‘ আমি অফিসারদের বলেছি⛦, দরিদ্রদের ধরবেন না।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমি তৈরি রয়েছি ১ লাখ টাকা দিতে, যাতে ব্যক্তিরা নতুন করে কাজ করেন’, তবে বিষমদ তৈরির রাস্তা ছেড়ে দেন। নীতীশ কুমার সোচ্চার কণ্ঠে বলেন, ‘দরকার হলে ওই টাকা আমরা সংগ্রহ করবে ফান্ড তৈরি করে, তবে এই ব্যবসায় (বিষমদ তৈরির) কেউ যে♉ন অংশ না নেন।’