এমনটাও হয়। এমন চোরকে মানবিক চোর বলা যেতেই পারে।নিউ দিল্লির রোহিনীতে এক সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল চোরের দল। এদিক ওদিক ঘাঁটাঘাটি করেও মূল্যবান কিছু পায়নি তারা। এরপর কী আর করা যাবে? মনে হচ্ছে তারা একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যা করল তারা ভাবলেও হাসি পাচ্ছে অনেকের। পুলিশ সূত্রে খবর, পিসিআরে একটা ফোন এসেছিল যে রোহিনীর সেক্টর ৮ এর একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা হয়েছে। ঘটনার কথা শুনে উত্তর রোহিনী থানার পুলিশ এলাকায় যায়। যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর বয়স প্রায় ৮০ বছর। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গুরগাঁওতে তাদের ছেলে থাকে। সেকারণে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৯ জুন সকালে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন। এরপর শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা ফোন করে জানায় তাদের বাড়িতে দরজা ভাঙা হয়েছে। এরপরই তারা বাড়ি ফিরে যান। দেখেন তাদের বাড়ির দরজার তালা ভাঙা হয়েছে। কিন্তু বাড়ির ভেতর গিয়ে তারা দেখেন কোনও কিছুই নিয়ে যায়নি চোরের দল। কারণ তাদের বাড়িতে মূল্যবান কিছুই নেই। এমনকী আলমারিরও কোনও জিনিস খোয়া যায়নি। তবে তারা দেখেন চোরের দল ৫০০ টাকা রেখে গিয়েছে। এটা দেখে তো হতবাক তারা। এতটা মানবিক হবে চোর এটা অবশ্য আশা করতে পারেননি কেউই। সূত্রের খবর, আসলে চুরির জন্যই এসেছিল চোরের দল। কষ্ট করে দরজার তালাও ভেঙে ফেলে তারা। এরপর ঘরেও ঢুকেছিল। কিন্তু ওই বাড়িতে কার্যত চুরি করার মতো কিছুই ছিল না। এর জেরেই হয়তো রেগে গিয়েছিল চোরের দল। হয়তো বাড়ির কর্তার প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল চোরেরা। চুরির করার মতো কোনও দামি জিনিস নেই। তবে চুরি করতে এসে এভাবে গৃহকর্তার বাড়িতে ৫০০ টাকা রেখে যাওয়ার ঘটনা বিশেষ শোনা যায়না। তবে পুরানো দিনে অনেক সময় মানবিক ডাকাতদের কথা শোনা যেত। তারা চুরি ডাকাতি করতে এসে মহিলাদের গায়ে হাত দিত না। এমনকী চুরি করে যে টাকা আসত তার একাংশ তারা গরিব মানুষের মধ্য়ে বিলিয়ে দিত। কার্যত মিথ হয়ে গিয়েছে এই সব কাহিনি। তবে এবার একেবারে চুরি করতে এসে পালটা ৫০০ টাকা দিয়ে গেল চোরের দল। গৃহকর্তা পুলিশকে জানিয়েছে তাদের বাড়ি থেকে কোনও কিছু চুরি যায়নি। তবে ওই ৫০০ টাকা তিনি কী করলেন সেটা জানা যায়নি।