পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে যেভাবে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে ওড়িশা প্রশাসনের।প্রশাসনের তরফে মনে করা হচ্ছে, যে হারে সংক্🍰রমণের মাত্রা বাড়ছে, তাতে মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই করোনায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।পরিস্থিতির গুরুত্ব আন্দাজ করেই এখন থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছে ওড়িশা প্রশাসন।
ইতিমধ্যে ওড়ཧিশা প্রশাসনের তরফে শনি ও রবিবার রাজ্যে সর্বত্র সাটডাউন শুরু করা হয়েছে।কালাহান্ডি, নুয়াপাড়া, সুন্দরগড়, সম্বলপুর, খুরদা, পুরী ও অঙ্গুল জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্য ও জাতীয় গড় আক্রান্তের থেকেও বেশি।ওড়িশার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, মে মাসের মধ্൲যে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফের আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।তবে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা গতবারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলেই অভিমত ওড়িশার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলেও ওড়িশা সরকার যে তা ম🎀োকাবিলা করতে প্রস্তুত সেকথা এদিন জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।জন স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর নিরঞ্জন মিশ্র জানান,‘শনিবার পর্যন্ত বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল ও কোভিড কেয়ার সেন্টারে ২০ হাজারেরও বেশি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।সব জেলা শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বড় বাড়ির ব্যবস্থা রাখতে। যদি হাসপাতালে বেড ফুরিয়ে যায়, তাহলে যেন ওই সব জায়গা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা যায়।এখনও পর্যন্চ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।তবে পরিস্থিতি যদি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে, তাহলে সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।স্বাস্থ্য দফতরের সহকারি মুখ্যসচিব পি কে মহাপাত্র জানিয়েছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে ঠিকভাবে পৌঁছোয়, সেবিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কোনও সিলিন্ডার খালি হয়ে গেল যাতে তা দ্রুত রিফিলিংয়ের ব্যবস্থা হয়, সেবিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এর জন্য ড্রাগ ইনস্পেকটারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি মেডিক্যাল সুপারেন্ট্যাডেন্টের সঙ্গে কথা বলে অক্সিজেন সিলিন্ডার কোভিড কেয়ার সেন্টারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করেন।যে গাড়িতে এই অক্সিজেন সিলিন্ডার আসবে তাতে জিপিএস ট্যাগিং থাকবে।এই বিষয়ে সব তথ্য স্থানীয় ড্রাগ ইনস্পেকটারের কাছে থাকবে।