দেবব্রত মোহান্তি
গাড়ি থেকে নাম💫তেই গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস। এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে মন্ত্রী𒐪কে গুলি করার অভিযোগ। ওই মন্ত্রী ব্রজরাজনগরে একটি শিল্পনগরীতে মিটিংয়ে এসেছিলেন। তখনই গুলি করা হয় তাঁকে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
৫৯ বছরের নব দাস সব গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। তখনই কয়েকজনকে সরিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় এএসআই গোপাল দাস।এসডিপিও গুপ্তেশ্ಌবর ভুঁই জানিয়েছেন, ♔বুকের বাঁদিকে গুলি লাগে মন্ত্রীর।
এক বিজেডি কর্মী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম বাজি ফাটানো হয়েছে। পরে বুঝতে পারি গুলি চলেছে। এদিকে মন্ত্রীকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেন অন্যান্যরা। প্রথমে তাꦬকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে এয়াল লিফ্ট 🅰করে ভুবনেশ্বরের অ্যাপোলো হাসপাতালে। কিন্তু দেখা যায় গুলি তার হৃৎপিন্ড ও বাঁদিকের ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর জেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
মুখ꧟্যমন্ত্রী এদিন সব সূচি বাতিল করে অ্যাপোলোত🎐ে যান। কংগ্রেস বিধায়ক সন্তোষ সালুজার দাবি, এই ঘটনায় মুখ্য়মন্ত্রীকে নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
এদিকে পুলিশ গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। তার মোটিভ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্তের বাড়ি বেহরামপুরে। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে স্বামীর মানসিক সমস্যা ছিল। তবে কয়েকবছর ধরে ভালোই ছিলেন। ওষুধও খেতেন। এদিনও ভিডিয়ো কলে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন সব ঠিকই ছিল।এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমার স্বামী কারোর কোনওদিন ক্ষতি করেননি। নিয়মি꧂ত ওষুধ খেতেন। তবে তিনি ছুটি পেতেন না। এনিয়ে মানসিক চাপে থাকতেন।
মনোবিদ চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠি ১০ বছর আগে ওই এএসআইয়ের চিকিৎসা করেছিলেন। তিনജি বলেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগতেন তিꦍনি। ওষুধ না খেলে এটা ফিরে আসতে পারে। তবে মন্ত্রীকে খুনের পেছনে কী কারণ রয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
বিগতদিনে ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন মন্ত্রী নব দাস। তিনি ২০০৪ সওালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে তিনি জেতেন। ২০১৯ সালে তিনি বিজেডিতে যোগ দেন। তাঁকে দ্বিতীয় ধনী মন্ত্রী হিসাবে গণ্য় করা হত। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে তিনি ১.৭ কেজি ওজনের সোনার কলসি উ🍰পহার দিয়েছিলেন বলেও খবর।