কোয়ারেন্টাইন পর্ব মিটিয়ে করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র দেখিয়েও মেলেনি ছাড়পত্র। গ্রামে ঢুকতে না পেয়ে নিজের গাড়িতেই ফের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য হলেন ওডিশার যুবক। পেশায় ভিডিয়োগ্রাফার ওডিশার গঞ্জাম জেলার বেরহামপুর শহরের বাসিন্দা মাধব পাত্র পেশাগত কাজে গত ৩ মে বিহারে গিয়েছিলেন। শহরে ফিরে আসার পরে তাঁর সোয়্যাব পরীক্ষা নেগেটিভ পাওয়া যায় এবং সরকারি নির্দেশে নিজের আবাসনে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। ফের পরীক্ষা হলেও তিনি করোনা নেগেটিভই প্রমাণিত হন। এর পর তিনি গত মঙ্গলবার সানাখেমুন্ডি ব্লকে নিজের গ্রাম ডোলাবায় যান। কিন্তু গ্রামে প্রবেশ করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর স্বামীর নেতৃত্বে তাঁকে গ্রামের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার জন্য জোরাজুরি শুরু হয়। বার বার গ্রামবাসীদের নিজের করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র এবং আগের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। এমনকি গোলমালের খবর পেয়ে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ এসে গ্রামের বাসিন্দাদের বোঝাবার চেষ্টা করেও বিফল হয়। গ্রামবাসীরা গোঁ ধরেন, মাধবকে গ্রামের বাইরে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই ১৪ দিন থাকতে হবে। সরকারি সেন্টারে সেই সময় বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সেখানে থাকতে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল জেনে মাধব প্রস্তাব দেন, সেন্টারে নয়, গ্রামের বাইরে নিজের গাড়িতেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পর্ব পালন করবেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি হন গ্রামবাসী। হতাশ মাধবের প্রশ্ন, ‘কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে এসেছি। তার পরেও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, এই যুক্তি হাস্যকর। সরকারি সেন্টারে থাকলে উলটে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাবে। তাই নিজের গাড়িতেই এই কয়েক দিন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’এই বিষয়ে সানাখেমুন্ডির বিডিও গায়ত্রী দত্ত নায়েক জানিয়েছেন, আজ বুধবার ২৭ মে মাধব পাত্রর দ্বিতীয় কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ সম্পূর্ণ হবে। এর পর তিনি গ্রামে প্রবেশাধিকার পাবেন।