কৃষকদের সহায়তায় একের পর এক পরিকল্পনা করছে মোদী ৩.০ সরকার। ১০,০০০ কোটি টাকার ভোজ্য তেলের তৈলবীজ মিশন, কেন্দ্রের এমনই একটি উদ্যোগ। এর দরুণ, ভারতে তেল আমদানির ⛄উপর নির্ভরতা কমবে। দেশের কৃষকরাও বিশেষ সহায়তা পাবেন। ইতিমধ্যেই এই মিশন অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
এই তৈলবীজ মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত
এনএমইও তৈলবীজের প্রধান লক্ষ্য হল নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের ফলন বৃদ্ধি করা এবং তৈলবীজ চাষের জন্য ব্যবহৃত জমি সম্প্রসারণ করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে জাতীয় ভোজ🃏্য তৈলবীজ মিশন (এনএমইও-তৈলবীজ) অনুমোদন করেছে।
বৈঠকের পরে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছেন, এই মিশনটি ဣ২০২৪-২৫ থেকে ২০৩০-৩১ পর্যন্ত চালানো হবে। আর আগামী সাত বছরের মধ্যে ভারতকে তেলবীজ উৎপাদনে স্ব-নির্ভর করে তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এই মিশনে মোট খরচ হবে ১০,১০৩ কোটি টাকা। এই মিশনটি মূল তৈলবীজ ফসল যেমন রেপসিড-সরিষা, চীনাবাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী এবং তিলের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করবে। তুলোর বীজ, ধানের তুষ💞ের মতো তেলের উৎস থেকে তেল সংগ্রহ ও আহরণ করা হবে এই মিশনের অধীনে। এতকিছু করার একটাই লক্ষ্য। তা হল দেশের প্রাথমিক তৈলবীজ উৎপাদন ২০২২-২৩ সালের ৩৯ মিলিয়ন টন থেকে ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৬৯.৭ মিলিয়ন টনে নিয়ে আসা।
আরও জানা গিয়েছে যে প্রয়োজনের সময় যাতে ভালো মানের বীজ পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে, একটি অনলাইন পাঁচ বছরের বীজ প্ল্যানিং সেট আপ করবে। এর দরুণ রাজ্যগুলি, কৃষক গোষ্ঠী এবং সরকারি ও বে𓄧সরকারি উভয় সংস্থা সহ বীজ উৎপাদকদের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তির ব্যবস্থা করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ভারত আমদানি করা ভোজ্য তেলের উপর প্রচুর নির্ভর করে, যা দেশের চ﷽াহিদার ৫৭ শতাংশ সরবরাহ করে।