সময়ের আগেই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধীদের বিরোধিতার মুখে সংসদের কাজ চালাতে না পেরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উভয় কক্ষে। জানানো হয়, চলতি অধিবেশনে মাত্র ২১ ঘণ্টা কাজ করতে পেরেছে লোকসভা। এই আবহে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বললেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।এদিন হিন্দুস্তান টাইমসকে ওম বিড়লা বলেন, 'গত পাঁচ সেশনে সংসদ ভালো কাজ করেছে। সাংসদরা নিজেদের কর্তব্য পালন করেছেন। তবে এই অধিবেশনে অচলাবস্থা কাটেনি। বিরোধীরা বেশ কিছু দাবি তুলেছিলেন। অপরদিকে সরকার পক্ষের দাবি ছিল যে সর্বদল বৈঠকে যেসব বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাই সর্বসম্মতিক্রমে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। সংসদের কাজ আলোচনা করা। আমার চেষ্টা সত্ত্বেও অচলাবস্থা কাটেনি।'ওম বিড়লা বলেন, 'এই অচলাবস্থার জন্যে আমি কীভাবে দায়ী? যদি সরকার পক্ষ এবং বিরোধীরা কোনও বিষয়ে সহমত হয় তাহলে সংসদ কাজ করতে পারে। যদি তারা সহমত না হন, অচলাবস্থা চলতে থাকবে। কিন্তু প্ল্যাকার্ড দেখানো, স্লোগান দেওয়া, ওয়েলে নেমে আসা সভার প্রথা ভঙ্গ। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। আমি নিশ্চিত দলগুলি আত্মসমীক্ষা করবে।'পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা হলেই তো অচলাবস্থা কাটতে পারত, এই প্রশ্ন করা হলে ওম বিড়লা বলেন, 'এটা তো সরকার এবং বিরোধঈদের মধ্যকার বিষয়। তারা সহমত হতে পারেনি। স্পিকার হিসেবে আমি কোও বিষয়ে আলোচনা তো চাপিয়ে দিতে পারি না। আমি সবসময় মনে করি কোনও বিল পাশের আগে তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তবে শত প্রচেষ্টার পরও আলোচনা সম্ভব হয়নি। তবে আলোচনা হলে ভালো হত।'ওম বিড়লা বলেন, ‘আমাদের কাজ আলোচনা-বিতর্কের পর বিল পাশ করানো। তবে অচলাবস্থআ চলতে থাকলে সবসময় আলোচনা করা সম্ভব হয় না। যদি কোনও বিল নিয়ে আলোচনা করানোন ক্ষমতা আমার থাকে বা আমি পারি, আমি নিশ্চিত ভাবে আলোচনা করাবো। তবে অনেক সময় আলোচনা সম্ভব হয় না। মন্ত্রীরা আবার বিল পাশ করাতে চান। স্পিকার হিসেবে আমাকে বিল পাশ করাতে দিতে হবে।’