নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলায় অতিরিক্ত সময় সুপ্ﷺরিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল এসবিআই। সেই মামলায় সোমবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত। এসবিআইয়ের আর্জির এই মামলা সোমবার, সুপ্রিম কোর্চের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ওঠে। মামলায় কোর্ট প্রশ্ন তোলে কেন নির্দেশ মেনে নির্ধারিত ৬ মার্চের মধ্যে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ করা যায়নি? এই প্রশ্ন তুলেই কার্যত দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে ভর্ৎসনা করে কোর্ট।
সোমবার মামলার শুনানিতে এসবিআইকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, ‘গত ২৬ দিন ধরে কী কী পদক্ষেপ করেছেন? আপনার আর্জিতে কিন্তু এই নিয়ে নীরবতা রয়েছে।’ কোর্ট বলেছে, ‘এসবিআইকে শুধুমাত্র একটা সিলড কভার খুলতে হত। ﷽বিশদ সংগ্রহ করতে হত আর তা নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হত।’ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ নির্দেশে জানিয়েছেন এসবিআইকে, যে নির্দেশ অনুযায়ী ‘প্লেন ডিসক্লোজার’ করতে হবে। উল্লেখ্য, এই মামলায় দেশের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই, জেবি পারদিওয়ালা, মনোজ মিশ্র।
এই মামলায় নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ করার জন্য ৩০ জুন পꦅর্যন্ত সময় চেয়েছিল এসবিআই। তবে শেষ খবরে জানা গিয়েছে, তথ্য মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকালের মধ্যে প্রকাশের সাফ নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কোর্ট। কোর্ট বলছে আবমাননা নিয়ে তারা কোনও নোটিস আপাতত এসবিআইকে দিচ্ছে না। তবে, কোর্টের নির্দেশ না মানলে জেনে বুঝে🌌 কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা নিয়ে এসবিআইকে নোটিস দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
মামলা ঘিরে ঘটনা পরম্পরা একনজরে-
১৫ ফেব্রুয়ারি, একটি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে গণ্য করে🍃 এবং বাতিল করে। এরই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ১৩ মার্চের মধ্যে দাতার তথ্য, অনুদানের পরিমাণ এবং প্রাপকদের নাম প্রকাশ করতে। একই সঙ্গে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য গত ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে শুরু করে সমস্তটা পেশ করতে বলে ৬ মার্চের মধ্যে। এই নির্দেশ এসবিআইকে দিয়েছিল কোর্ট। সেই ৬ মার্চের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আর্জি নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসবিআই। সেই মামলাতেই এসবিআইকে ভর্ৎসনা করে কোর্ট। এসবিআইয়ের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে বলেছেন, প্রক্রিয়াটির বেনামী প্রকৃতির হওয়ার কারণে বিষয়টির সংবেদনশীলতার উল্লেখ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাঙ্কের আরও সময় প্রয়োজন।