নবান্নে যখন নীতীশ কুমার এসেছিলেন, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যা🌄য় তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিহারে বিরোধী দলগুলির একটি ডাকার। সেই প্রস্তাবকে স্বীকৃতি দিয়ে পটনায় বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কর্নাটক ভোটের পর ১৭ বা ১৮ মে পটনায় এই বৈঠক হতে পারে।
শুক্রবারও মুর্শিদাবাদে ধুলিয়ানের মঞ্চ থেকে ফের একবার বিজেপ🌠ি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। কেমন হবে সেই লড়াই তার ফর্মুলাও বলেছেন। মঞ্চ থেকে মমতার আহ্বান,'সব বিরোধী দল একজোট হো𒉰ন। বিজেপির বিরুদ্ধে ওয়ান ইস টু ওয়ান লড়াই লড়াই করুন। আমি সঙ্গে আছি।'
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে 'ইউনাইটেড সামিট' নাম দিয়ে এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়ে গিয়েছে। জেডিইউ নেতা দেবেশচন্দ্র ঠাকুর এই বৈঠকের আমন্ত্রণ নিয়ে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ও শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ছাড়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। ছুঁৎমর্গীতা ভেঙে হাজির থাকতে পারে সিপিএমও। এছাড়া সিপিআইয়ের ডি রাজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
(পড়তে পারেন: রামপুরহাটে ট্রেন, মামার বাড⭕়🍒ির কথা মনে পড়ে গেল মমতার, মন্দিরের কাজ কত দূর হল?)
সে দিক থেকে জেডিইউ-এর ডাকে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত অবস্থান বদল নরম করে হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস আর 'মাস্টারমশাই' হতে চাইছে না। সম্প্রতি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জায়িছেন, বিজেপিকে ঠেকাতে ধর্মনিপেক্ষ দলগুলির সহযোগিতা নিয়ে তাঁদের আপত্তি নেই। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধুলিয়ানের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিজোপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হলেꦚ তিনি সঙ্গে আছেন। অর্থাৎ গতবছর যে ভাবে নেতৃত্বদায়ী অবস্থানে থাকার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছিল তৃণমূল তা থেকে সরে এসে 'সঙ্গে থাকাটাই' গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়াতে 'দুই পা পিছে' হেঁটে জোটের সঙ্গে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে যে ভাবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রাজ্যে 'কোণঠাসা' করেছে তৃণমূল তা বিরোধী রাজনীতিতে 'অনুপ্রেরণা'। ১৭ বা ১৮ তারিখ পাটনায় যে বৈঠক হবে, সেই বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা লোকসভা ভোটের আগে অবশ্যই নজর রাখার মতো বিষয়।
শনিবার সকালে বাঁ𓆉কুড়া শহরের মাচানতলায় 'চায়ে পে চর্চা' কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,'কিছু করার দরকার নেই। সবার তিহাড়ে থাকার ব্যবস্থা হবে। ওখানে ভালো ব্যবস্থা আছে। সবাই বৈঠক করতে পারবেন।'