বুধবার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং অন্যান্য প্রধান বিরোধী নেতারা বৈঠকে বসলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে। বিরোধী দলের ১২ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয়। এই প্রেক্ষ🏅িতে বরফ গলার সেরম কোনও ইঙ্গিত মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
বৈঠক সম্পর্কে অবগত এক আধিরাকি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, সাসপেন🐓শন ইস্যুতে আলোচনার সময় বিরোধী নেতারা অচলাবস্থার সমাধান করার জন্য বিভিন্ন দলের নেতাদের একটি বৈঠক ডাকার জন্য নাইডুকে পরামর্শ দেন। চেয়ারম্যান এই বিষয়ে বিরোধী নেতাদের জানান, যখন তাঁর উপযুক্ত মনে হব🌃ে তখন এই ধরনের সভা ডাকা হবে। তবে নাইডুর কথায় ইঙ্গিত ছিল যে এই ধরনের সভা ডাকার কোনও উদ্দেশ্য এখনই তাঁর নেই। এদিকে কংগ্রেসের দুই নেতা, আনন্দ শর্মা এবং পি চিদাম্বরম, ১২ সদস্যের সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য একটি নোটিশ দিয়েছিলেন। তবে নাইডু জানিয়েছিলেন যে নোটিসটি সঠিক ছিল না।
এর আগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্ꦜবে হওয়া মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয় যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করে বিরোধী নেতারা এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম নেতা টিআর বালু, সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, শিবসেনা নেতা সঞ🔯্জয় রাউত এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংসদের গত বাদল অধিবেশনে পেগাসাস ইস্যুতে কংগ্🔥রেস, তৃণমূল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের🍸 সাংসদরা রাজ্যসভার কক্ষ অশান্ত করে তুলেছিলেন৷ ডেপুটি চেয়ারম্যানের টেবিলে উঠে পড়া থেকে শুরু করে, কাগজ ছিঁড়ে তা ডেপুটি চেয়ারম্যানের দিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ এমনকি টেবিল উল্টে দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে৷ সেই ঘটনায় গত বাদল অধিবেশনে ঘটলেও চলতি শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন অভিযুক্ত ১২ জন সাংসদকে বহিষ্কার করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷