বিমার টাকা পেতে ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামে গিয়েছ🗹িল একটি পরিবার। সেখানে গিয়ে এলআইসিকে বিমার টাকা দিতে বলল নিগম।
গুজরাটের নবসারিতে ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম জীবন বিমা নিগমকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে মৃতের পরিবারকে ২.৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। চিকলির এক যুবকের মৃত্যুর পরে এই বিমার টাকা দিতে বলেছিল ফোরাম। সেই সঙ্গে ফোরামের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পরিবারকে হেন💙স্থা করা হয়েছে তাদের যেন অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়।
ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, পলিসি হোল্ডার পল্লব আহির ২০১৯ সালে মারা যান। দুধিয়া লেকে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা যান তিনি। এলআইসি ওই পরিবারের দাবি মানতে চায়নি। জীবন বিমা জানিয়ে দেয় যে এই মৃত্যুটির পেছনে দুর্ঘটনার কোনও ব্যাপার নেই🐈। পুলিশের বিবৃতির ভিত্তিতে নিগম জানিয়েছিল যে আহির সাঁতার জানতেন না। এলআইসির নিউ মানি ব্য়াক প্ল্যান করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই মানি ব্যাক পলিসি করেছিলেন। ২.৫ লাখ টাকার কভারেজ ছিল তাঁর।
এদিকে সেই পলিসি পিরিয়ডের মধ্য়েই পল্লব বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে লেকের জলে তলিয়ে যান। তার পর🥀িবার এলআইসির কাছে বিমার টাকার জন্য দাবি করে। কিন্তু সেটা মানতে চায়নি এলআইসি।
এরপর পল্লবের বাবা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিডিআরসির কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। এলআইসি সেই সময় ফোরামকে জানায় পল্ল♏ব সাঁতার জানতেন না। তা সত্ত্বেও তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ইচ্ছা করে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন। আর ১১বি ধারা অনুসারে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত আহত হন তবে তাঁর পরিবার বিমার টাকার দাবি করতে পারেন না। এদিকে পুলিশ জানায় পল্লব সাঁতার জানতেন না। তারপরেও তিনি লেকে স্নান করতে গিয়েছিলেন। তবে এলআইসির দাবিকে মানতে চায়নি। সেটা খারিজ করে দেয় ফোরাম।
এদিকে ফোরাম জানায়, যখন পল্লব লেকে গিয়েছিল তখন সে বাড়িতে বলে যায়। এরপর তাদের বাড়ির লোকজন বারণ করেননি। কেউ যদি সাঁতার না জানতেন তবে তিনি কেন জীবনের ঝুঁকি নিতে যাবেন? তাছাড়া ভালো সাঁতারুরও মৃত෴্যু হয় জলে ডুবে। পুলিশের বিবৃতির উপর নির্ভর করে এলআইসি এটা করতে পারে না। এটা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর ঘটনা হত তবে সেটা একেবারেই অন্যরকম হত। কিন্তু সেটা হয়নি।