নিজের সরকারের পতনের জন্য নাম না নিয়ে আমেরিকার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন উমরান খান। সেই আমেরিকাকেই পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ আখ্যা দিলেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া। পাশাপাশি এদিন ইউক্রেন🅷 যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দাও করেন তিনি। ইমরান খানের পুতিন সখ্যতার উপর এই মন্তব্যের বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে ইমরান খানের নীতির মূল্য যে ইতিমধ্যে কমে গিয়েছে, তারও প্রমাণ মিলল পাক সেনা প্রধানের এই বক্তব্যে।
এদিম পাক সেনা প্রধান বলেন, ‘এদিন পাক সেনা প্রধান বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তার সেই সম্পর্কের চিহ্ন। তাছাড়া ঐতিহাসিক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। এখনও আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। আমরা পাকিস্তান ও চিনের সাথে সমান ভাবে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। একই ভাবে যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এবং জাপ𝄹ানও আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের চলমান সংঘর্ষ নিয়ে পাকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিস্তান গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের সামরিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা ছিল। তবে সম্প্রতি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার ইউক্রেন দখলে পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। হাজার হাজার মানুꦡষ মারা গিয়েছে এই সংঘর্ষে। আর্ধেক ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার যুক্তি সঙ্গত চিন্তার কারণ থাকলেও এই সংঘর্ষকে সমর্থন করা যায় না।’
উল্লেখ্য এর আগে ইউক্রেন꧋ যুদ্ধ শুরুর পরই ইমরান খান রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। এবং স✨েই সময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘খুব উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে আমি রাশিয়া এসেছি।’ এরপর তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের জন্যও ইমরান নাম না করে আমেরিকাকে দোষারোপ করেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর রাশিয়া সফরের ক্ষুণ্ণ হয়েই আমেরিকা তাঁর সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে। এই আবহে আমেরিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে পাক সেনা প্রধানের এহেন মন্তব্য খুবই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।