জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং অরুণাচলপ্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া। রাশিয়ান ꦉসরকারের তরফে জারি করা এসসিও সদস্য দেশগুলোর মানচিত্রে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই প্রদর্শিত হয়েছে কাশ্মীর, লাদাখ এবং অরুণাচল। রাশিয়ান বার্তা সংস্থা স্পুটনিকের মতে, প্রকাশিত মানচিত্রে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং আকসাই চিনের পাশাপাশি সমগ্র অরুণাচলপ্রদেশকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও চিন এসসিও সদস্য দেশ হওয়া সত্ত্বেও মস্কো এই পদক্ষেপ করল।
এই মানচিত্রটি জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে এবং এসসিও-র মধ্যে ভারতীয় পক্ষের দাবিকে আরও শক্তিশালী করেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাক অধিকৃত কাশ্📖মীরের সফরে গিয়েছিলেন। তিনি এই এলাকাকে 'আজাদ কাশ্মীর' বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর বিরোধ সমাধানে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন। এই আবহে এবার রাশিয়ার এই ‘কূটনৈতিক সমর্থনে’ নিশ্চিত ভাবে দিল্লির মুখে হাসি ফুটবে।
চিন সম্প্রতি এসসিও-র জন্য প্রকাশিত মানচিত্রে ভারতের কিছু এলাকাকে তারা নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখিয়েছিল। বেজিংয়ের সম্প্রসারণবাদের নীতি সেই মানচিত্রের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে এসসিও-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাশিয়ার মানচিত্রে পিওকে, আকসাই চিন এবং অরুণাচলপ্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসে⛄বে দেখানোয় চিনের জন্য তা বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং রাশিয়া ১৯৪৭ সাল থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন করে এসেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত বিরোধী প্রস্তাবনাগুলিকে ভেটো ব্যবহার করে বাধা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বারবার বলেছে যে কাশ🤡্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। এই বলেই রাষꦬ্ট্রসংঘের মঞ্চে এই বিবাদের আন্তর্জাতিকীকরণকে বাধা দিয়েছে তারা।