সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তবে পার্লামেন্টে আলোচনা না করেই সন্ত্রাস দমনে নতুন নীতির কথা ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার। এর আগে শাহবাজের সরকার জানিয꧙়েছিল পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনের জন্য ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ নামে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। তারপরই সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, আসলে বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা নামিয়ে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যেই পাক সরকার এই কৌশল নিয়েছে। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে এবার সরকার কীভাবে সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালাবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
আরও পড়ুন: দরিদ্র দশা পাকিস্তানে! ꩲআইএমএফের কাছে ফের🐻 লোন চাইছে ভারতের প্রতিবেশী
সন্ত্রাস দমনের নতুন নীতির কথা স্পষ্ট করে শাহবাজ জানিয়েছেন, এই অভিযান কোনও সামরিক অভিযান নয়, আসলে এটি হল গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান। এই গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানই এবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও ত🌸ীব্র করা হবে। ফলে সেনা অভিযানের যে অভিযোগ বিরোধীর🐽া তুলেছিলেন সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ওঠে। তাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য শাহবাজের সরকার গত সোমবার এই অপারেশনের কথা🍒 ঘোষণা করেছিল। তারপরেই তুমুল প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় য😼ে ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ অভিযান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এই বিতর্কের মুখে পরে কীভাবে অভিযানটি চালানো হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে পাক সরকার।
এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দুটি প্♌রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে এই অভিযান চালানো হবে। এই অভিযান আগের অভিযানগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। এই অভিযানের কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। তাছাড়া, অভিযোগ উঠেছিল চিনের নির্দেশেই এই অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে প্রতিরক্𒈔ষা মন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, যে চিন বা অন্য কারও নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এই অভিযানের সময় কোনও প্রাণহানি বা দমন পীড়ন হবে না।