পাক নাগরিক এক সুফি সাধক মারা গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। একটা সময় তাঁর পূর্বপুরষরা থাকতেন ভারতে। তাঁরও জন্ম এ দেশে তাই তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল ভারতেই তাঁকে কবর দেওয়া হোক পূর্বপুরষদের কবরের পাশে মাজারে। তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে, দেহ ভারতে আনতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুফি সাধকের অনুগামীরা। এই মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বিদেশি নাগরিকের মৃতদেহ ভারতে আনা🐼র সংবিধানিক অধিকার নেই।
প্রয়াগরাজ ভিত্তিক সুফি 𝓡দরগাহের আধ্যত্মিক প্রধান হযরত শাহ ভারতে জন্মগ্রণ করেন। কিন্তু ১৯৪৮ সা🐼লে তিনি পাক নাগরিক হন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশের ঢাকায় যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অরুন্ধতী কাটজু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালার এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের কাছে আব🍒েদন করেন, সুফি সম্প্রদায়ের নেতা হজরত শাহের প্রয়াগরাজে আত্মীয় রয়েছে। তারা সাজ্জাদানাশীন পূরণ করতে আগ্রহী। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দরগাহ চত্বরে তাঁরে দেহ সমাহিত করা হবে। আইনজীবী জানা, ঢাকার সমಞাধিটি অপরিষ্কার ও অপরিশোধিত।
আরও পড়ুন। একটღু ধৈর্য ধরুন', কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ꦰে বার্তা এয়ার ইন্ডিয়া CEO-র
কিন্তু, বেঞ্চ দৃঢ় ভাবে জানিয়ে দেয় যে কোনও ভারতীযꦺ় নাগরিকের কোনও বিদেশীর মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার অধিকার নেই। বেঞ্চ বඣলে, হযরত শাহ একজন স্বীকৃত পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। এমন কোনও সাংবিধানিক অধিকার নেই যা দিয়ে আবেদনকারীরা তার মৃতদেহ ঢাকা থেকে ভারতে আনার দাবি করতে পারেন।
আবেদন খারিজ
ভারতে তার শেষকৃত্যের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলে, আদালতের পক্ষে এমন কোনও বജ্যক্তির দেহ ভারতে আনার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না ♏যিনি ঘোষিত ভাবে পাক নাগরিক।
আরও পড়ুন। জি-তে ছাঁটাই♏য়ের খাঁড়া! খর🍌চ কমাতে ১৫ শতাংশ কর্মী ছেঁটে ফেলছেন CEO পুনিত গোয়েঙ্কা
সুফি নেতা উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পাকিস্তানে চলে আসেন এবং ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পান। পাকিস্তানের নাগরিকত্ব প্রদান সত্ত্বেও, ভারতে তার অনুসারীরা তাঁকে দরগাহের সাজ্জাদা♐নশীন (আধ্যাত্মিক নেতা) হিসেবে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮-এ নির্বাচিত করে।
উইল করেন সুফি সাধক
আবেদনকারী দাবি করেন, সুফি নেতা তাঁর পূর🐷্বপুরুষদের কবরের পাশে মাজারে তা🍸ঁকে সমাধিস্থ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ৮ মার্চ,-এ একটি উইল করেছিলেন। ২১ জানুয়ারি, ২০২২-এ বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি ঢাকায় মারা যান।
আদা𝔉লত আবেদনটি খারিজ করার পরে, কাটজু বলেন, হযরত শাহের ছোট বোন, খালিদা ইউসুফ সাবির মৃতদেহ ভারতে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও জবাব পাননি। আইনজীবী জিজ্ঞাসা করেন, আদালত কি কর্তৃপক্ষকে অন্তত তার প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিতে পারে, । বেঞ্চ এমন নি🀅র্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন। অভিনব জালিয়াতি! ৬৫ কোটির মালিক হতে গিয়ে হারালেন ১৬ লাখ টাকা🌱, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর