ইন্টারন্যাশানাল মানিটারি ফান্ডের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থ সহায়তা পায়নি পাকিস্তান। বার বার হাত পেতেও জোটেনি এই অর্থ। আর এতদিনে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বক্তব্য, পাকিস্তান সব শর্তই পূরণ করেছে। তারপরেও ইন্টারন্যাশানাল ফান্ডের অর্থ সহায়তা না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। ট্রিবিউনে এনিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।ছয় লেনের ওভার হেড ব্রিজের নির্মাণ কাজের পরিদর্শন শেষে পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএমএফ থেকে একটা ভগ্ন চুক্তি আমাদের দেওয়া হয়েছে।সেই সঙ্গে তিনি কিছুটা আবার আশার কথাও শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, একাধিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পাকিস্তান সমস্ত রকম সমস্যা থেকে মুক্ত হবে।এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, দেশ ধারে ডুবে যাবে না আর ভিখারির মতো আচরণ করবে না। কারণ দেশের একাধিক প্রজন্ম তাঁদের মাতৃভূমির জন্য় আত্মত্যাগ করেছেন। সেই সঙ্গেই পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএমএফের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য সবরকম শর্ত পালন করা হয়েছে।এদিকে পাকিস্তান তাদের বন্ধু দেশের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল। চিনের কাছ থেকেও আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল। তবে চিনের কাছ থেকে তারা কিছু আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। পাশাপাশি আগের যে ধার ছিল সেটা কিছুটা হলেও মিটিয়েছিল পাকিস্তান।এর সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সৌদি আরব ও সম্মিলিত আরব আমিরশাহীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ ইউনাইটেড আরব এমিরেটস পাকিস্তানকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো, অর্থমন্ত্রী ইশাক দার ও চিফ অফ দ্য আর্মি স্টাফ আসিম মুনিরের প্রচেষ্টাকেও প্রশংসা করেছেন তিনি।এর সঙ্গে পাকিস্তানের বিগতদিনের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শেহবাজ। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে তেহরিক ই ইনসাফের আমলে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছিল।সেই সঙ্গে পাকিস্তানে বর্তমান আমলে একাধিক কল্যানমূলক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বিনা পয়সায় আটা দেওয়ার প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ব্যাপারটা খুব ঝুঁকির। কিন্তু এটা অনেক মানুষকে বেশ স্বস্তি দিয়েছে। প্রায় ৮০-১০০ মিলিয়ন মানুষ এর থেকে সহায়তা পেয়েছেন বলে দাবি পাক প্রধানমন্ত্রীর।এর সঙ্গেই পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নানা ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশকে ঠিক করতে হবে আমরা কি বিদেশি ঋণ নিয়েই বাঁচব নাকি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াব।