‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকে দোষ দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।' ফের একবার বিশ্বের সামনে একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। বুধবার সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি সাংবাদিকের মুখ কার্যত বন্ধ করে দিয়েয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিশিয়াল থমাস পিগোট।
আরও পড়ুন-'আমার ছেলে দেশপ্রেমের...' এয়ার মার্শাল একে ভারতীর সাফল্যে গর্বিত মা-বাবা
বুধবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিক সম্মেলনের পাকিস্তানের এক সাংবাদিক মার্কিন প্রতিনিধির সামনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি চান না। আরও এক কদম এগিয়ে ওই সাংবাদিক দাবি করেন, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেন, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া উচিত। দুই দেশের মধ্যে যেভাবে তিনি শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন তাতে এই পুরষ্কার তাঁর প্রাপ্য। এরপর নিজের সীমা ছাড়িয়ে ফেলেন পাকিস্তানের ওই সাংবাদিক। তিনি প্রশ্ন করে বসেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শান্তি চুক্তি নিয়ে কী মার্কিনরা আশাহত। সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিশিয়াল তাকে থামিয়ে দেন।
এরপর থমাস পিগোট বলেন, ‘আমাদের ফোকাস ছিল যুদ্ধবিরতি। এটা হয়েছে দেখে আমরা খুশি। এখানই আমরা মনোযোগ দিয়েছিলাম।এবং আমরা যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে চাই। আমরা চেয়েছিলাম যুদ্ধবিরতি হোক এবং এই কাজকে উৎসাহ দিতেই আমরা দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে কথা বলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকে দোষ দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান চেয়েছিলেন। তিনি শান্তির দাম দিতে জানেন। বিশ্বে শান্তি ফেরাতে তিনি এর আগেও এমন কাজ করেছেন।তিনি শান্তি ও সংঘাতের অবসান দেখতে চান।’
আরও পড়ুন-'আমার ছেলে দেশপ্রেমের...' এয়ার মার্শাল একে ভারতীর সাফল্যে গর্বিত মা-বাবা
এর প্রেক্ষিতে পাক সাংবাদিক বলেন, ‘ভারত ইজরায়েলের তৈরি ড্রোন অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহার করেছে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি উদ্যোগ যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং আলোচিত হয়েছে তা হল তার আব্রাহাম অ্যাকর্ড ধারণা। এর ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।’ এই কথার পর ফের সাংবাদিককে থামিয়ে দেন পিগোট। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোকাস ছিল যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল বিশ্বজুড়ে সংঘাত সমাধানে আগ্রহী। এর থেকে বেশি আর কিছু বলা হবে না।’