বিরো🌠ধীদের হই-হট্টগোল, মুলতুবির সাক্ষী থেকেছে বাদল অধিবেশন। তার জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সংসদকে ‘দেশের গণতন্ত্রের মন্দির’ হিসেবে উল্লেখ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সঙ্গে বললেন, মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা, বিতর্কে সামিল হওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেয় সংসদ।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি জানান, যখন দেশ স♚্বাধীন হয়েছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন যে ভারতে গণতন্ত্র টিকবে না। কোবিন্দের কথায়, ‘তাঁরা হয়ত জানতেন না যে প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে গণতন্ত্রের༺ শিকড়ের লালন-পালন করা হয়েছে। আধুনিক সময়ও অনেক পশ্চিমী দেশগুলির থেকেও ভারত অনেক এগিয়ে আছে। কোনওরকম বিভেদ ছাড়া সকল প্রাপ্তবয়স্ককে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিয়েছে ভারত।’
দেশের সংসদীয় কাঠামোর উপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রকে গ্রহণ করেছি। তাই সংসদ হল ꦺআমাদের গণতন্ত্রের মন্দির। যা মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা, বিতর্কে সামিল হওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোಞগ দেয়।’
এমনিতে এবার বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই পেগাসাস বিতর্ক, নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের মতো বিষয় নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ। সরকার এবং বিরোধী - উভয়পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। লোকসভায় যে কয়েকটি বিল হয়েছে, তাতে কার্যত কোনওরকম আলোচনা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে বারবার মুলতুবি করতে হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। সেই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগেই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বিরোধী এবং শাসক দলের তরজা চলছে। বিরোধীদের দাবি, শাসক দল আলোচনার টেবিলে বসতে চায় না। পালটা🅺 বিজেপি সরকারের দাবি, বিরোধীরা সংসদের মর্যাদা ক্ষু্ণ্ণ করছেন। সেই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা 🌼দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির ভাষণে সংসদকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হওয়ার বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।