কোভিড অতিমারীর কারণে লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) বা জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্দিষ্ট করেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)।পেনশনভোগীদের বার্ষিক লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি চালু রয়েছে।পুরনো নিয়মে লাইফ সার্টিফিকেট জমা: এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্কের যে শাখায় তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট (pension account) রয়েছে, সেখানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জীবন প্রমাণপত্রে সই করতে হয় পেনশনভোগীকে।জীবন প্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা: অনলাইন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন পেনশনভোগী। বাড়িতে বসে ইউআইডিএআই অনুমোদিত ডিভাইস কাজে লাগিয়ে নিজস্ব কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে পেনশনভোগীকে নিজের পেনশন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করতে হবে।ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা: এই পরিষেবা পেতে হলে মোবাইল ফোনে ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এবার নিজের ব্যাঙ্কের নাম বেছে নিয়ে পরিষেবা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে হবে। নিজের পেনশন নম্বর দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। এর পর ডোরস্টেপ সার্ভিস চার্জ দেখা যাবে। এবার ‘প্রোসিড’ লিক করতে হবে। ন্যূনতম ফি দিয়ে এই পরিষেবা পাওয়া যায়। আবেদন জমা দেওয়ার পরে নিজস্ব মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে এজেন্টের নাম জানানো হবে। ব্যাঙ্কের এজেন্ট আপনার ঠিকানায় এসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবেন।সম্প্রতি ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পেনশন বিভাগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি ফেস-রেকগনিশন (face recognition) প্রযুক্তি চালু করতে চলেছে পেনশন দফতর। এর ফলে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাহায্যে কোনও বায়োমেট্রিক ডিভাইস ছাড়াই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে।