জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে বড় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে মিমিক্রি বা নকল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদের বাইরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে যে মিমিক্রি করেছিলেন তা এখনও হজম করতে পারেননি বিজেপি নেতা–মন্ত্রীরা বলে খবর। তাই একের পর এক মন্তব্য করেই চলেছেন তাঁরা। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কড়া বার্তা দিলেন। সেখানে জড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল কংগ্রেস🐼 সাংসদ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি অসহায়। কারও যদি সাংস্কৃতিক মাথা না থাকে মিমিক্রিকে প্রশংসা করার তাহলে তাঁর কি করার আছে।
এদিকে এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বড়দিনের দি🥃নেই ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘অসভ্য হলে কারও জেল হয় না। তবে গণতন্ত্রে মানুষ কখনও তাঁদের ক্ষমা করবে না যদি তাঁরা সাংবিধানিক পদকে অসম্মান করেন। কখনও ক্ষমা করবে না যদি কেউ কৃষকের সন্তানকে অসম্মান এবং পিছড়ে বর্গ থেকে আসা ব্যক্তিকে অপমান করেন।’ রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘১৫০ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, শুধু মিমিক্রি নিয়েই মাথাব্যথা’। আর এমন পরিস্থিতির মাঝেই💮 মিমিক্রি বিতর্কে আবার উপরাষ্ট্রপতিকে নিশানা করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মিমিক্রি বিতর্কে এখনও জাতীয় রাজনীতির অলিন্꧟দে অস্বস্তি চলছে। তা আজ বোঝা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়। সংসদের বাইরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে নকল করে দেখিয়েছেন। সেই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ফোন করেছেন ধনখড়কে। ২০ বছর ধরে তাঁকেও এমন অপমানের শিকার হতে হয়েছে বলে ধনখড়কে জানিয়েছেন মোদী। কিন্তু কল্যাণের দাবি, ২০ বছর আগে সংসদেই ছিলেন না তিনি। তাই অতীতের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে দেওয়া যুক্তিহীন।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি টাকার গয়না, কামারহাটি🎀 পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের গৃহে ইডির๊ হানা
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যখন এমন কথা বলছেন তখন পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না কেন আপনি এখানে নিজেকে ভাবছেন, দিন রাত কাঁদছেন বিষয়টি নিয়ে। কে༺ন তিনি কাঁদছেন শিশুর মতো?’ এমনকী শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দিয়ে বলেন,‘সাংবিধানিক পদে বসে শুধু আমি আমি করছেন কেন? দেশকে দেখুন। কতটা ঘাড় ঝোঁকাবেন আপনি? নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে কতটা খুশি আপনি করতে চান? আপনিই বলেন এই শতকে জন্মানো সবচেয়ে বড় মহাপুরুষের নাম নরেন্দ্র মোদী। শুধু অয়েলিং। মতপ্রকাশের অধিকার, আমার মৌলিক অধিকার। মিমিক্রি আমার অধিকার, কেউ এটা ধ্বংস করতে পারে না।’