চিনা হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে তাইওয়ানের মাটিতে পা রেখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের (মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন বায়ুসেনার বিমান অবতরণের পর তাইওয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ মার্কিন আধিকারিকের তাইওয়ান সফর। আর সফরের শুরুতেই চিন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল। পেলোসির বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকতেই পিএলএ-র তরফে ২০টি যুদ্ধূবিমান পাঠানো হয় তাইওয়ান আকাশসীমায়। তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন চিনা সামরিক বাহিনীর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে মার্কিন উচ্চ পদস্থ কর্তার সফরকালীন এই পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা 🔯হচ্ছে।
এর আগেই চিন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে পেলোসি যদি ꧟তাইওয়ানে পা রাখেন তাহলে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করবে চিন। এই আবহে একসঙ্গে পিএলএ-র ২০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘꩵন করায় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখছেন অনেকেই। এদিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই জাপানের বিমান ঘাঁটি থেকে ১৩টি মার্কিন যুদ্ধবিমান তাইওয়ানে এসেছে। পেলোসির সফরকালে চিন যে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে পারে, এর আঁচ আগেই পেয়েছিল আমেরিকা।
এদিকে তাইপেইয়ের সোংশান বিমানবন্দরে পেলোসি এবং আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে বি🍬মানবন্দরে স্বাগত জানান তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোশেফ য়ু। এদিকে বিমানবন্দরে পেলোসির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে অন্ধকার রানওয়েতে টর্চ জ্বেলে হাঁটছেন মার্কিন প্রিতিনিধিদল। এর থেকে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি চিনা হামলার আশ🔯ঙ্কাতেই বিমানবন্দর অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছিল?
এদিকে তাইওয়ানে পেলোসি෴ অবতরণের পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। চিনেক তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই ধরণের পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক, বিষয়টা আগুন নিয়ে খেলার মতো। যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।' পরে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, তাইওয়ানে পেলোসির সফরের প্রতিবাদে কয়েকটি নির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ করবে চিন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ করবে পিপলস লিবারেশন আর্মি।