ব্রাজিলের সাও পাওলোয় ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। যে বিমানে ৫৮ জন যাত্রী-সহ মোট ৬২ জন ছিল। সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাও পাওলোর যে এলাকায় সেই বিমান পড়েছে, তা জনবহুল এলাকা। সেই ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় ওই বিমানটি ভেঙে পড়েছে। তাতে মোট ৫৮ জন যাত্রী ছিলেন। পাইল🅠ট-সহ বিমানে মোট চার কর্মী ছিলেন। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা ওই উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়নি। দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে ভিনহেডো শহরে বিমান ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দমকল বিভাগ, মিলিটারি পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা।
বিমানে আগুন ধরে গিয়েছে
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক গ্লোবো নিউজের ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে জনবহুল🧔 এলাকায় দাউদাউ করে জ্বলছে। যা দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে ভেঙে পড়ার পরে বিমানে আগুন ধরে গিয়েছে। ওই﷽ টেলিভিশন নেটওয়ার্কের আরও কয়েকটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে ক্রমশ নীচের দিকে নামছে বিমান।
প্রাথমিকভাবে কী কী তথ্য মিলেছে?
১) বিমানের গতিপথের উপরে নজরদারি চালানো ফ্লাইট র্যাডার𒉰 FlightRadar24-র তথ্য অনুযায়ী, ওই বিমানটি এটিআর ৭২-৫০০ টার্বোপ্রোপ। যে এটিআরের মালিকানা এয়া𒁏রবাস এবং ইতালিয়ান এরোস্পেস গ্রুপ লিওনার্দোর হাতে আছে।
২) এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনার যখন খবর আসে, তখন দক্ষিণ ব্রাজিলের একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিউ লুলা দা সিলভা। সেইসময় দর্শকদের তিনি উঠে দাঁড়িয়ে শোকপ্রকাশ করতে বলেন। তাঁদের এক মিনিট নীরবতা পালন করতে বলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, যা মনে হচ্ছে, তাতে বিমানে থাকা সকলের (৫৮ জন🌌 যাত্রী এবং চারজন বিমানকর্মী) মৃত্যু হয়েছে। যদিও কোন সূত্র থেকে সেই খবর পেয়েছেন, তা জানাননি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
৩) ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের পারানা রাজ্যের ক্যাসকেভেল থেকে ওই বিমান উড়েছিল। যাচ্ছিল সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে। সেইসময় ভিনহেডো শহরে ভেঙে পড🎐়েছে বিমা♍নটি।